সৈয়দপুরে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা

0
331
করোনাভাইরাসে একদিনে আরও ৩২ জনের মৃত্যু

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজ সোমবার (১২ জুলাই)পর্যন্ত উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের ৭০ জন নারী পুরুষ। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৪৯ জন।

আর মারা গেছেন তিনজন। সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১২ জুলাই পর্যন্ত উপজেলায় সর্বমোট ৫৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ফলাফল এসেছে ৫২০ জনের। ফলাফলে ৭০ জনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে। সুত্রটি জানায় গত এপ্রিল মাসে শুধুমাত্র একজনের করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। কিন্তু এরপর থেকে উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। গত মে মাসে নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ ফলাফল আসে ১৭ জনের। পরের মাস গত জুনে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০-এ। এতে দেখা যায় জুন মাসে গড়ে প্রতিদিনই একজন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আর চলতি মাসের গতকাল ১২ জুলাই পর্যন্ত করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে ২২ জনের।

এরমধ্যে গত ৪ জুলাই সৈয়দপুর উপজেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ১২ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যা নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে একদিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা। উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তালিকায় রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন পেশার ও শ্রেণির মানুষজন। তবে ভাল খবর হলো সৈয়দপুরে ৭০জন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিরা নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং হোম আইসোলেশনের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানতে চাইলে ওইসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার। এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা মাস্ক পরিধান করা, মাস্ক না পরে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হলেও অধিকাংশ মানুষজনই তা মানছেন না। তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলায় উপজেলায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে বলে জানান স্বাস্থ্যসেবাসহ করোনা নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here