পাপিয়াকাণ্ডঃ কেএমসি ট্যাটু লাগিয়ে সদস্য হলেই মিলত টাকা

0
430
পাপিয়াকাণ্ডঃ কেএমসি ট্যাটু লাগিয়ে সদস্য হলেই মিলত টাকা

খবর৭১ঃ ‘খাজা মাইনউদ্দিন চিশতী’ সংক্ষেপে কেএমসি। এটি নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান সুমন চৌধুরীর নিজস্ব বাহিনী। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই বাহিনী যাত্রা শুরু করে। বাহিনীর সদস্য হয়েই শরীরে আঁকতে হতো ট্যাটু। আর তাতেই মিলত টাকা।

তবে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা পাপিয়া কিংবা সুমনের বিশ্বস্ত তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে যারা সুদর্শন তাদের দিয়ে করানো হতো পুরুষ স্কট ব্যবসা। আবার কাউকে দিয়ে করানো হত অস্ত্রের ব্যবসাও। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া-সুমনসহ চারজনকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে গাঢাকা দিয়েছে এই বাহিনীর সদস্যরা।

কেএমসির একাধিক সদস্য জানায়, বাহিনীটির সদস্য ৩০-৩৫ জন। যাদের প্রায় সবারই হাতে কিংবা শরীরে ‘কেএমসি’ লেখা ট্যাটু করা আছে। এদের বেশির ভাগই চা বিক্রেতা, মুদির দোকানি, ফুচকা বিক্রেতা, মাদকসেবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ। মূলত টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের এই বাহিনীতে ঢোকানো হয়েছে। তাদের মূল কাজ ছিল পাপিয়া ও সুমন নরসিংদী এলে তাদের সঙ্গে বহরে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া। তবে পাপিয়া ও সুমনের ঘনিষ্ঠদের কাজ অনেক। তাদের কয়েকজনকে ব্যবহার করা হতো মাদক কারবারে আর কয়েকজনকে পুরুষ স্কট হিসেবে।

পাপিয়াকাণ্ডঃ কেএমসি ট্যাটু লাগিয়ে সদস্য হলেই মিলত টাকা

পাপিয়ার বাড়ি ভাগদী মহল্লায় আর সুমনের বাড়ি ব্রাহ্মন্দী মহল্লায়। এই দুই মহল্লাকেন্দ্রিক কেএমসি বাহিনী গড়ে উঠলেও আশপাশের মহল্লার লোকজনও এই বাহিনীর সদস্য। ভাগদী, ব্রাহ্মন্দী ও দাসপাড়া এলাকার লোকজন কেএমসির ট্যাটু লাগানো কমপক্ষে ২৯ জনের নামের তালিকা দিয়েছে।

তাঁরা হলেন ভাগদী এলাকার পাপিয়ার বড় ভাই সাব্বির আহমেদ, ছোট ভাই সোহাগ আহমেদ, মেহেদী খন্দকার, মাইনুদ্দীন খন্দকার, জসিম খান (স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন), মাহমুদুল হাসান ভুবন, বাবু (মুদির দোকানি), সেলিম, আবির, সাব্বির খন্দকার, সাদেক, আলভী, প্লাবন, মোবারক (চা দোকানি), মেরাজ, রাসেল ও জুয়েল;  দত্তপাড়া এলাকার সানি (ফুচকার দোকানি), ব্রাহ্মন্দী এলাকার মিয়া মো. আজিজ, মিয়া শাকিলা জাহান, রুহি মোসাব্বির, মোস্তফা মুনমুন, চালক আলম মো. জুবায়ের, দাসপাড়া এলাকার সাগর, রেজাউল, অনিক, ফরহাদ, হিমেল ও রাব্বি। এর মধ্যে অনিককে ছয় মাস আগে কক্সবাজারের টেকনাফে ১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে কেএমসির সদস্যদের মধ্যে পাপিয়ার মালিকানাধীন কেএমসি কারওয়াশ অটো সলিউশনে কাজ করে মেহেদী খন্দকার, সেলিম, প্লাবন ও মেরাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here