ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন: স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ শঙ্কায় বিএনপি

0
446
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন: স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ শঙ্কায় বিএনপি

খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সরগরম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। সম্পন্ন হয়েছে নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় প্রস্তুতি। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় মনোনয়নপত্র জমা হওয়ার পর শেষ হয়েছে যাচাই-বাছাইও।

প্রচারকে সামনে রেখে নিজ নিজ কৌশল প্রণয়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কিন্তু এই ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ বেশ স্বস্তিতে থাকলেও নানা শঙ্কায় ভুগছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।

ক্ষমতাসীনদের অভিমত- ভোটকে কেন্দ্র করে দুই সিটির নাগরিকদের মধ্যে এখনই সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। সুষ্ঠু পরিবেশে সব দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

অন্যদিকে গ্রেফতার আতঙ্কসহ নির্বিঘ্নে প্রচার চালানো ও ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনী বিতর্ক এড়াতে একটি স্বস্তিদায়ক সমাধান খুঁজছেন তারা। এ লক্ষ্যে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে দলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।

নির্বাচনে হার-জিতের ‘রেস’ থেকে বেরিয়ে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট ঢাকাবাসী উপহার পাবেন বলে প্রত্যাশা করছে ক্ষমতাসীনরা। এমনকি এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হেরে গেলেও সরকারি দলের তেমন ক্ষতি হবে না।

বরং জনগণের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটা আরও সুদৃঢ় হবে। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কথায় আশ্বস্ত হতে পারছে না বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ইভিএম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

এছাড়া প্রচারণা শুরুর আগেই পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ওয়ার্ডভিত্তিক তাদের তালিকাও করা হচ্ছে। এসব কিছুই প্রমাণ করে ভোট সুষ্ঠু হবে না।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ঢাকার দুই সিটির ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দেবেন।

বিএনপির বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ ভোটারদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। ভোট সুষ্ঠু পরিবেশে হবে জেনেই তারা অংশগ্রহণ করছে। অথচ এ নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

নির্বাচনে ভোটাররা যাকে ভোট দেবেন তিনিই হবেন ঢাকার মেয়র। এক্ষেত্রে ফল যাই আসুক আওয়ামী লীগ মেনে নেবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যুগান্তরকে বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন লোক দেখানো। নির্বাচন উপলক্ষে একদিকে গ্রেফতার আতঙ্ক অন্যদিকে প্রচারণা। বৃহস্পতিবারও আমাদের একজন কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হৈচৈ হবে, মিছিল হবে; নির্বাচনের দুই দিন আগে দেখবেন সব ঠাণ্ডা। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। সব মিলিয়ে গ্রেফতার আতঙ্কসহ নির্বিঘ্নে প্রচার চালানো ও ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবেন কিনা- তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

তিনি বলেন, তারপরও বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে। কারণ আমরা জনগণের সমর্থিত রাজনৈতিক দল। যদি দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেন- এ সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ৯ জানুয়ারি। পরের দিন প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ওই দিন থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

আওয়ামী লীগ : বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন, সিটি নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে, ঢাকা সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এর ইতি টানতে চায় আওয়ামী লীগ। এখানে কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়াতে চায় না দলটি।

নির্বাচন নিয়ে দলীয় ‘ইমেজ (ভাবমূর্তি)’ ফিরিয়ে আনার যে সুযোগ এসেছে, তা কাজে লাগাতে চায় ক্ষমতাসীনরা। যেনতেন নির্বাচন না দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফল যা আসে তাতেই বিজয় দেখছে আওয়ামী লীগ।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হারলেও তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এটা তো জাতীয় নির্বাচন নয় যে নির্দিষ্টসংখ্যক আসন না পেলে সরকার গঠন করা যাবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হার-জিত হতেই পারে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করেই দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার। আর প্রার্থী পরাজিত হলেও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভোট বিতর্ক যেমন দূর হবে, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

নির্বাচন কমিশন নিয়েও ভবিষ্যতে আর কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তাই ভোটের দিন দলীয় নেতাকর্মীকে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজে লাগাতে চায় দলটি। সূত্রটি আরও জানায়, দুই সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার উজ্জ্বল কিছু সম্ভাবনা আছে।

কারণ ঢাকাকে কেন্দ্র করে চলছে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ। বিগত ১১ বছরে ঢাকার যানজট নিরসনে একাধিক ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে মেট্রোরেল প্রকল্প ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ।

এছাড়া পাতাল রেল পরিকল্পনা, ঢাকার চারপাশে চক্রাকার বাস সার্ভিস, নদী, খাল দখল উচ্ছেদ অভিযান নির্বাচনে ভোটার টানতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিসহ সব কর্মকাণ্ডে বর্তমান সরকারের সফলতা অনেক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।

মানুষের আয়-ব্যয় সক্ষমতা বেড়েছে। সর্বত্র ডিজিটাল ছোঁয়া লেগেছে। এসব বিবেচনায় নৌকার প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

দুই সিটি নির্বাচনে এবার জনপ্রিয় প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। উত্তরে জনপ্রিয় ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির আতিকুল ইসলাম ফের মনোনয়ন পেয়েছেন। দক্ষিণে নানা আলোচিত-সমালোচিত মেয়র সাঈদ খোকনকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে। ব্যক্তিগত ও দলীয় যে কোনো বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকায় এই দুই প্রার্থীর বিজয় অনেকটা সহজ হবে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

ভোটারদের পছন্দের প্রার্থীই এবার নৌকার- এ থেকেও বিজয়ের আরেকটি সহজ পথ দেখছে আওয়ামী লীগ। ঢাকার সচেতন ভোটাররা উন্নয়নে বিশ্বাস করে। এবার এর জনপ্রিয়তা যাচাই করতে দুই ঢাকা সিটির নির্বাচনে বড় পরীক্ষা দিতে চায় দলটি।

এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি ও সাজাভোগ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতি ও বিদেশে পলাতক, প্রার্থীদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে চায় আওয়ামী লীগ।

পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সে কাজটি প্রত্যেক ভোটারের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাতে কাজ করবেন নেতাকর্মীরা। ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশেও কাজ করবেন তারা। সর্বোপরি এবারের ভোটে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য- ভোটারদের আস্থা অর্জন করে নির্বাচনে জিতে আসা। সেক্ষেত্রে হেরে গেলেও আফসোস করবে না তারা।

এদিকে বিএনপির সব অভিযোগকে আজগুবি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য তারা প্রথম থেকে এ ধরনের অভিযোগ উপস্থাপন করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করা, বিতর্কিত করা। এর মাধ্যমে বিএনপি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

বিএনপি : ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আতঙ্কে রয়েছেন মহানগর বিএনপি নেতারা। তাদের অভিযোগ- বিভিন্ন মামলায় জামিনে থাকলেও নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অধিকাংশই বাসাবাড়িতে থাকছেন না।

মনোনয়ন ফরম জমা দিলেও নিজ এলাকায় অনেকে এখনও একাশ্যে আসেননি। মহানগর নেতারা জানান, অতীতের মতো একই কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। একদিকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বিএনপিসমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাসায় গিয়ে মাঠে যেন না থাকেন সে ব্যাপারে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন; আবার বেশকিছু এলাকায় দলের নেতাকর্মী যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের তালিকাও করছে পুলিশ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৭নং ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির সহসভাপতি সাইফুল ইসলামকে বিএনপি কাউন্সিলর পদে সমর্থন দেয়। তিনি মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। কিন্তু জমা দেননি। ওই এলাকার বিএনপির এক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ভীতির কারণে সাইফুল ইসলাম মনোনয়ন ফরম জমা দেননি।

পরে সেখানে প্রার্থী পরিবর্তন করে পারভেজ মিয়াকে সমর্থন দেয় বিএনপি। এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ফরম নিয়েছি, দলীয় সমর্থন পেয়েছিলাম। কিন্তু ফরম জমা দেইনি। কারণ এলাকায় নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪০নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গেণ্ডারিয়া থানা বিএনপির সভাপতি মকবুল ইসলাম খান টিপু যুগান্তরকে বলেন, আতঙ্কের মধ্যে আছি। লোকজন বলছে ভোট হলে তো আপনি আবারও বিজয়ী হবেন। কিন্তু ভোট তো হবে না।

আসলে ভোটের প্রতি জনগণ আস্থা হারিয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ কিছুদিন আগে এসে বলেছে আপনার আর নির্বাচন করার কী দরকার। অন্যদের সুযোগ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আমি এ এলাকার কাউন্সিলর নির্বাচত হয়ে আসছি। সুষ্ঠু ভোট হলে এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হব।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি বলেন, পুলিশ নাকি বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব।

উত্তরের ৪০নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আতাউর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, আমার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনেকের কাছে বলছেন আমাদের দৌড়ের ওপর রাখবেন, দাঁড়াতেই দেবেন না। দেখা যাক কী হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তাজউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি। তাকে গ্রেফতারের পর দুই সিটির অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থী গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন।

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের এক সহসভাপতি যুগান্তরকে বলেন, এমন কোনো বিএনপি নেতা নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই। কিন্তু এসব রাজনৈতিক মামলা। প্রায় সব নেতাই এসব মামলায় জামিনে আছেন। তারপরও শুধু সিটি নির্বাচন সামনে রেখে এখন এসব নেতাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতার করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে চাপ সৃষ্টি করে লাভ নেই। আমরা কোনোভাবেই ভোটের মাঠ ছেড়ে যাব না।

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকব। এ নিয়ে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেন ইশরাক। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি অভিযোগ করেন।

এ সময় ইশরাক সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাবি জানিয়েছেন এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যারা কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের যেন গ্রেফতার করা না হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ব্যবস্থা নেয়ার আগপর্যন্ত আশ্বস্ত হতে পারছেন না তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা, এ নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে। সন্দেহ শুধু আমার একার নয়। সাধারণ জনগণেরও আছে। তারা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন কিনা- বিতর্কিত নির্বাচন অতীতে হয়ে এসেছে। আর বিতর্ক না বাড়িয়ে এ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেন না করা হয়। তিনি বলেন, এবার যে কোনো পরিস্থিতিতেই হোক আমরা শেষপর্যন্ত নির্বাচনে থাকব এবং শেষটা দেখেই ছাড়ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here