শিলংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ

0
468
শিলংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ

খবর৭১ঃ
ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ ও সংঘাত চলছে। আসামের বিক্ষোভে হতাহতের পর গতকাল শুক্রবার মেঘালয় রাজ্যের শিলংসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শিলংয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ও এসএমএস সার্ভিস দুই দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। শিলংয়ের বিভিন্ন এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। মেঘালয় পুলিশ টুইটে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা দেয়।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শিলংয়ে স্থানীয় লোকজনের করা মোবাইল ফোনের ভিডিওতে দেখা গেছে, কমপক্ষে দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রধান দুটি সড়কে মশাল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শিলং থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে উইলিয়ামনগর এলাকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জনসভায় তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে ‘কনরাড ফেরত যাও’ স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে মানুষ বিক্ষোভ করে।

মেঘালয় পুলিশ টুইটে অপপ্রচার না চালাতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে গতকাল দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ পরে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটকের খবর নিশ্চিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় বড়ো জমায়েতে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসাম, ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করে তুলে বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল পাস করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন অনুযায়ী ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে এই সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পার্সি ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের শঙ্কা, এই নতুন আইনের ফলে বহিরাগতদের চাপে স্থানীয় আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়সহ বিভিন্ন রাজ্যে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here