রূপপুর প্রকল্প: অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় দুর্নীতি

0
574
রূপপুর প্রকল্প: অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় দুর্নীতি

খবর৭১ঃ
পাবনার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন ভবনের জন্য বিছানা, বালিশ ও আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় এমন দুর্নীতি হয়েছে। আসবাবপত্র পরিবহন এবং বিভিন্ন তলায় উঠানোর ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদফতরের রেট সিডিউল-২০১৮’র নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।

সিডিউলবহির্ভূত আইটেমগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে দর নির্ধারণের পদ্ধতি সঠিক ছিল না। দরপত্র আহ্বানের শর্তাবলিতে পণ্য সরবরাহের কোনো অভিজ্ঞতা না চেয়ে শুধু নির্মাণ কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। যা কোনোক্রমেই যুক্তিযুক্ত নয়।

তদন্তে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ গণপূর্ত অধিদফতরের ১৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া যাচাই-বাছাই ও বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের সুপারিশ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার দুদকে পাঠানো হয়েছে। এরপরই দুদক থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করে কমিশন।

এ দুর্নীতির অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের বাইরেও কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো ধরনের দুর্নীতিকে ছাড় দেয়া হবে না।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত টিম গত ৭ জুলাই গণপূর্তমন্ত্রীর দফতরে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মাসুদ, আবদুর রহিম রিপন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রবিউল ইসলাম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম। প্রতিদবেদনে তারা অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ৭ দফা সুপারিশও করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৬তম বিসিএস একজন নবীন কর্মকর্তা পিডব্লিউডি ট্রেনিং একাডেমিতে ওরিয়েন্টেশন কোর্স শেষে ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কর্মস্থল পাবনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দফতরে যোগদান করেন। যোগদানের দিনেই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নির্দেশ মোতাবেক তিনি ৫এ.৭, ৫এ.৪, ৫.২, ৫.৫, ৫এ.৫ ও ৬.৩ ভবনের ছয়টি প্রাক্কলনের গাণিতিক যোগফল চেক করেন এবং স্বাক্ষর করেন।

ওই নবীন কর্মকর্তাকে দিয়ে যোগদানের দিনই এভাবে প্রাক্কলন ব্যয় সংক্রান্ত কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া অস্বাভাবিক ঘটনা। শিক্ষানবিস কর্মকর্তা হিসেবে প্রথম কর্মদিবসে পিডব্লিউডি রেট সিডিউল এবং ‘এনালাইসিস’ সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না।

এ অনিয়মের দায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর। তারা এ দায় এড়াতে পারেন না।

প্রাক্কলনগুলো সঠিক ও যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে হুবহু অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর সুপারিশ করা হয়। এজন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেল ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পাবনা গণপূর্ত সার্কেল, পাবনা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দায়ী। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অস্বাভাবিক ব্যয় করার বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গণপূর্ত হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আবু সাঈদ, মো. শাহিন উদ্দিন, মো. জাহিদুল কবীর, মো. রফিকুজ্জামান, সুমন কুমার নন্দী, মো. ফজলে হক, মো. রওশন আলী, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. রুবেল হোসাইন, মো. তারেক, আহম্মেদ সাজ্জাদ খান, মো. মোস্তফা কামাল, মো. তাহাজ্জুদ হোসেন ও একেএম জিল্লুর রহমান। এছাড়া যাচাই-বাছাই ও বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। এর মধ্যে অবসর সুবিধা ভোগকারী গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমানও রয়েছেন ওই তালিকায়।

সরকারি তদন্তেও কভারসহ একটি বালিশের মূল্য ৪ হাজার ৩৪ টাকা হিসাবে বিল করা হয়েছে মর্মে তথ্য মিলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বালিশ ও বালিশের কভার গণপূর্ত অধিদফতরের ই/এম সিডিউলভুক্ত আইটেমের মধ্যে শিমুল তুলার বালিশ অন্তর্ভুক্ত আছে।

উন্নতমানের বালিশ সংগ্রহের জন্য বাজার যাচাই করে ইউরো এশিয়া থেকে কোটেশন সংগ্রহ করা হয়। যার মূল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। কভারের মূল্য সিডিউল অনুযায়ী ৭৫০ টাকা; যা ওই কোটেশনেও একই দর। এ দুটি আইটেমের কেরিং, লোডিং, আনলোডিং এবং সেটিং চার্জ সিডিউল অনুযায়ী ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা (৩৩.০০+২২.৫০)। গণপূর্ত অধিদফতরের সিডিউল প্রণয়নের ফর্মুলা অনুযায়ী ওভারহেড চার্জ ৩.৫০% ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাভ ১০% এবং ভ্যাট ৭% বিবেচনা করে কভারসহ একটি বালিশের মূল্য দাঁড়ায় ৪০৩৪.১০ টাকা।

কিন্তু এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও উপপ্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তারা তদন্ত কমিটির কাছে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত কমিটি কর্তৃক সরেজমিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার ও লিখিত বক্তব্য গ্রহণ, বিভিন্ন আইটেমের সরেজমিন বাজার দর সংগ্রহ, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র যাচাই করা হয়।

পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজে নিয়োজিত রাশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন ‘গ্রিন সিটি আবাসিক পল্লী’তে ২০ ও ১৬ তলাবিশিষ্ট ১৯টি ভবন নির্মিত হচ্ছে।

ভবনগুলোর হস্তান্তর/গ্রহণ নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ওই ভবনগুলোর আসবাবপত্র ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স কাজের কার্যাদেশ প্রদানের তারিখের আগেই মালামাল সরবরাহ করা হয়। কভারসহ একটি বালিশের মূল্য ৪ হাজার ৩৪ টাকার পরও এক্ষেত্রে লিফটিং খরচ আলাদাভাবে প্রদানের সুযোগ নেই।

একইভাবে সিডিউলভুক্ত বেডশিট, কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্স ও ফ্রিজ ইত্যাদি আইটেমের লিফটিং খরচ আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়নি।

অনুমোদিত প্রাক্কলিত মূল্য ও কমিটি কর্তৃক প্রণীত প্রাক্কলিত মূল্যের মধ্যে পার্থক্যের কারণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিটি কর্তৃক বাজার দর যাচাই করে দেখা যায়, অনুমোদিত দাফতরিক প্রাক্কলনভুক্ত অধিকাংশ আইটেমের বেসিক রেট এক থাকলেও কিছু আইটেমের ক্ষেত্রে বাজারে বেসিক রেট কম পাওয়া যায়।

কমিটি গণপূর্ত অধিদফতরের সিডিউলে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী আসবাবপত্রের আইটেমের দর নির্ধারণ করেন। কিন্তু বর্ণিত দাফতরিক প্রাক্কলনগুলো প্রস্তুত, সুপারিশ, নিরীক্ষা এবং অনুমোদনকারী কর্মকর্তা, তাদের বক্তব্যে দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত সিডিউলের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের কথা বললেও কমিটি মনে করে তারা কিছু ফ্যাক্টরস- যেমন শ্রম, পরিবহন, সানড্রি এবং ওঠানো বাবদ অতিরিক্ত মূল্য ধরেছেন।

আসবাব পরিবহন এবং বিভিন্ন তলায় ওঠানো ও সেটিং ইত্যাদি গণপূর্ত ২০১৮-এর সিডিউলের আইটেম হলেও তারা সিডিউলের পদ্ধতি অনুসরণ করেননি।

শুধু তাই নয়, প্রকল্পের কাজে নিুমানের জিনিসপত্রও দেয়া হয়েছে। ৪টি ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাট পরিদর্শনে তদন্ত টিম দেখতে পায়, ফার্নিচারসমূহ হাতিল ব্র্যান্ডের সরবরাহ করা হয়েছে। ইলেকট্রিক এপ্লায়েন্সের মধ্যে শার্প রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মডেল ৫৬ক-এর পরিবর্তে- আর ২৫সিওয়ান, ওয়াশিং মেশিন এরিস্টোন ১৪ কম-এর পরিবর্তে ইলেক্ট্রা ১২.২ এবং মাইক্রো ওভেন বিদেশি ব্র্যান্ডের ছোট সাইজের, ইলেট্রিক আয়রন ব্লাক এবং ডিকার ব্র্যান্ডের পরিবর্তে নোভানা ও ইউনিমেক্স এবং ইন্ট্রোডাকশন কুকার ওসেন ব্র্যান্ডের পরিবর্তে মিয়াকো আইরন টেবিল, জানালার পর্দা, বাথরুমের পর্দা এবং ১২.২৫ লিটার ওয়াস্টবিন অপেক্ষাকৃত নিুমানের সরবরাহ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ২ (১২) এবং ২ (৩০) এ ‘কার্য’ এবং ‘পণ্য’ এর সঙ্গ দেয়া আছে। সংজ্ঞা অনুযায়ী আলোচ্য কাজটি ‘পণ্য প্রকৃতির হওয়া সত্ত্বেও কার্য হিসেবে দরপত্র আহ্বান, প্রক্রিয়াকরণ ও অনুমোদন করায় এবং দরপত্রে শুধু কার্যের অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নিয়ে দরপত্র আহ্বান করায় এ ক্ষেত্রে অবাধ প্রতিযোগিতার সুযোগ সংকুচিত করা হয়েছে।

অনিয়ম রোধে কমিটি সাত দফা সুপারিশ করে। এর মধ্যে আছে- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের প্রাক্কলন প্রণয়ন ও অনুমোদন, দরপত্র আহ্বান ও অনুমোদন, মালামাল গ্রহণ ও বিল প্রদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত দায়ী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্বের গুরুত্ব অনুসারে বিভাগীয় ব্যবস্থা/প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

যেসব ভবনের আসবাবপত্র ও হোম এপ্লায়েন্স সরবরাহের দরপত্র এখনও আহ্বান করা হয়নি সেই সব ভবনে আসবাবপত্র ও হোম এপ্লায়েন্স সরবরাহের অবশিষ্ট কাজগুলো প্রকৃত আসবাবপত্র ও হোম এপ্লায়েন্স ব্যবসায়ীদের কার্যকর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে পিপিআর অনুসরণপূর্বক ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ, দরপত্রের শর্তাবলি, দরপত্র দলিল ইত্যাদি পণ্য বিবেচনায় নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা সমীচীন হবে।

চারটি ভবনের আসবাবপত্র ও ইলেকট্রিক এপ্লায়েন্স সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য ১১৩৬২.৯৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে উক্ত সরবরাহকৃত মালামালের প্রকৃত মূল্য ৭৭২২.৮৫ লাখ টাকা।

অর্থাৎ চুক্তিমূল্য সরবরাহকৃত মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬৪০.০৯ লাখ টাকা বেশি। এই অতিরিক্ত পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প। প্রকল্পের ‘গ্রীন সিটি আবাসিক পল্লী’ ভবন নির্মাণ অংশে গণপূর্ত অধিদফতর ৭টি ২০ তলা ও ২টি ১৬ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।

প্রকল্পটি বিগত ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here