রোহিঙ্গা সংকট: ফেরত যেতে না চাইলে ভবিষ্যতে তাদের প্রতি কঠোর হবে বাংলাদেশ – পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
390
রোহিঙ্গাদের যারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গারা ফিরে না যাওয়ার জন্য মিয়ানমারকেই দায়ী করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে পারেনি। যে কারণে রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি হচ্ছে না। তবে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদেরকে আমরা বসে বসে খাওয়াতেও পারবো না। তাদেরকে ফিরে যেতে হবে। শুক্রবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেসব দাবি জানাচ্ছে সেটা মানতে আমরা বাধ্য নই। এটা তারা তাদের দেশে গিয়ে অর্জন করতে হবে। মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হওয়ায় তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। আগে যেসব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলেছিল এখন তারাও প্রত্যাবর্তনের পক্ষে কথা বলছেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন কাজ শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমারের সাথে আমাদের আরও আলোচনার সুযোগ আছে। আমরা তাদেরকে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম রোহিঙ্গাদের ১০০ জন নেতাকে সেখানে নিয়ে যেতে। তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য সেখানে কি কি করা হয়েছে সেগুলো দেখে এসে তারা অন্যদের বোঝাবে। রোহিঙ্গাদের জন্য সে দেশে চীন ১ হাজার ও ভারত আড়ইশত বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে। সেগুলো দেখে এসে তারা যখন অন্য রোহিঙ্গাদের বলতো তখন তারা আশ্বস্ত হতো। প্রত্যাবর্তনে রাজি হতো। কিন্তু মিয়ানমার সেটা করেনি। তাই প্রত্যাবর্তনের ব্যর্থতার দায় তাদেরই।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গিকার করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবর্তনের জন্য যা যা করা দরকার সরকার সব করবে।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিকভাবে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদেরকে ফেরাতে পারিনি এটা সত্য। তবে তাদেরকে যেতে হবে। কবে যাবে সেটা হয়তো এখন বলা যাচ্ছে না। বিএনপির কাছে অন্য কোনো ভালো আইডিয়া থাকলে আমরা তাদেরকে ওয়েলকাম জানাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here