মুরাদনগরে ভাড়া বাসায় চলছে অবৈধ ক্লিনিক

0
800
মুরাদনগরে ভাড়া বাসায় চলছে অবৈধ ক্লিনিক

খবর৭১ঃ

মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে ভাড়া বাসায় চলছে অবৈধ প্রাইভেট ক্লিনিকের রমরমা ব্যবসা। জেলা সিভিল সার্জন ও প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই চলছে এই অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসা। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কোন প্রকার অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াই উপজেলার বাঙ্গরা বাজার সংলগ্ন হলি ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ২য় তলায় ১বছর যাবত ২রুমের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে প্রসবসহ নানা চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শারমিন সুলতানা নামের এক মিডওয়াইফ।

সে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কুনিকাড়া গ্রামের নান্নু চৌধুরীর মেয়ে ও বাবুল সরকারের স্ত্রী। জানা যায়, ভাড়া বাসায় ক্লিনিক পরিচালনাকারী শারমিন সুলতানা নিজেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সাধারন মানুষদের তার কাছে চিকিৎসার জন্য আনতে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে তার রয়েছে একটি দালাল সিন্ডিকেট। জেলা সিভিল সার্জনের নেই কোন অনুমতি এবং কোন প্রকার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই প্রতি মাসে ৫০টির বেশী নরমাল ডেলিবাড়ীসহ নানা চিকিৎসা প্রদান করেন তিনি তার বাসায়। গর্ভপাতের মত নিষিদ্ধ কর্মকান্ডও করছেন বলেন বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়। আর এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে এক ধরনের অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সিন্ডিকেটটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নানাভাবে ফুসলিয়ে এবং অল্প টাকায় নরমাল ডেলিভাড়ী ও নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলে এ বাসায় পাঠায়। নিন্ম আয়ের মানুষগুলো এ প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে বেশিরভাগ হয়রানীর শিকার হন।

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যখন ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এসময় কোন প্রকার বাধাহীন ভাবে এমন অবৈধ ক্লিনিকের রমরমা ব্যবসা নিয়ে জনমনে শংকা বিরাজ করছে। ক্লিনিকে বোনকে চিকিৎসায় নিয়ে আসা জেসমিন আক্তার বলেন, আমরা জানি এই হাসপাতালে বড় মহিলা ডাক্তার আছে তাই এখানে চিকিৎসা করাইতে আইছে। কিন্তু তিনি ডাক্তার না আর এইডা অবৈধ হাসপাতাল এটা আমরা জানি না। খামারগ্রামের মোশারফ বলেন আমিও জানতাম তিনি বড় ডাক্তার তাই আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসছি কিন্তু তিনি ডাক্তার নন এটা আমরা জানিনা। এবিষয়ে শারমিন সুলতানা বলেন আমি কোন প্রতারণা করছি না কারন, যে রোগীর চিকিৎসা করতে পাড়ি তাদের চিকিৎসা করি, যাদের চিকিৎসা করতে পারিনা তাদের অন্য হাসপাতালে যেতে বলি। স্বাথ্য বিভাগের অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলীনুর মোহাম্মদ বশীর আহাম্মদ বলেন, সিভিল সার্জনের অনুমোদন ছাড়া ও মেডিকেল নীতিমালার বাইরে এধরনের ক্লিনিক করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও এসিল্যান্ড সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে শীগ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here