কুয়াকাটায় পর্যটকের ওপর বাসশ্রমিকদের হামলা, রক্তাক্ত জখম ৬

0
1386

রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
কুয়াকাটায় চলন্ত বাসে অবস্থানকালে পর্যটকসহ যাত্রীদের ওপর বাসের চালক, সুপারভাইজার, হেল্পারসহ শ্রমিকরা বেধড়ক হামলা চালিয়েছে। রোলার দিয়ে তাদের পেটানো হয়েছে। এতে পর্যটক রতন খান, নুর আলম, সুমন, মাঈনউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও অপর এক যাত্রী রহিম গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে রতনের কান ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার রাত আট টার দিকে আলীপুর-কুয়াকাটা মহাসড়কে নিউ মায়ের দোয়া বাসের মধ্যে বাস শ্রামকিরা পর্যটকসহ যাত্রীদের ওপর এমন হামলা তান্ডব চালায়।
আহত পর্যটক রতন জানান, তারা চার বন্ধু ঢাকার মিরপুর এক নম্বর থেকে কুয়াকাটায় রওয়ানা হন। ঢাকার সদরঘাট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমতলীর লঞ্চে ওঠেন। শনিবার সন্ধ্যায় আমতলী ঘাটে পৌছেন। বাসস্ট্যান্ডে এসে অপেক্ষমান একটি বাসে ওঠে। কুয়াকাটায় যাওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হয়। কিন্তু বাসটি কলাপাড়ায় গিয়ে পৌছলে ইঞ্জিন বিকলের কথা বলে নামিয়ে দেয়। এরপর শেখ রাসেল সেতুর সংযোগ সড়কে অপেক্ষমান কুয়াকাটাগামী নিউ মায়ের দোয়া বাসে তুলে দেয়া হয় তাদের। তখন বলে দেয়া হয়- ভাড়া আগেই নিয়ে নেওয়ার কারনে এ বাসে পুনরায় ভাড়া দেয়া লাগবে না। কিন্তু পথিমেধ্যে ভাড়া চাইলে বাগবিতন্ডার এক পর্যায় হাতাহাতি হয়। কুয়াকাটায় ওই বাসে আসা কুমিল্লার মাধবপুরের অপর এক পর্যটক শফিকুল ইসলাম জানান, বাসের চালক, সুপার ভাইজরসহ হেল্পাররা কুয়াকাটা-কলাপাড়ায় থাকা অপর শ্রমিকদের খবর দিয়ে এনে বাসে থাকা ১৫/১৬ পর্যটকসহ সকল যাত্রীদের রোলার দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এসময় কুয়াকাটার এক ব্যবসায়ী জয়নালকেও মারধর লাঞ্ছিত করা হয়।
বিষয়টি কুয়াকাটার সাধারণ মানুষ জানলে বাসটি ঘেরাও করে পাল্টা-হামলার প্রস্তুতি নেয়। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। তাৎক্ষণিক মহিপুর থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম বাসের চালক শাহীন ও কুয়াকাটা কাউন্টার কলম্যান নাসিরকে থানায় নিয়ে যান। আহত পর্যটকদেরও নিয়ে ঘটনা শোনেন। এরপর পুলিশ বাস মালিককে বলে আহত পর্যটকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে সবাইকে সংযত থাকার অনুরোধ করেন। একই সাথে বাসের লোকজনকে দিয়ে পর্যটকদের কাছে মাফ চাওয়ানো হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনায় কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের কাছে এক ধরনের উদ্বেগ বিরাজ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here