খবর৭১ঃ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠার মিশনে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে টাইগারদের ২৪৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে হলে হোপদের দেয়া লক্ষ্য টপকে যেতে হবে মাশরাফি বাহিনীকে।
সোমবার ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে উইন্ডিজ। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানে থামে ক্যারিবীয়দের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন ওপেনার শাই হোপ। উইন্ডিজের দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ দলের বোলাররা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ক্যারিবীয়দের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন টাইগার কাপ্তান মুর্তজা। তার তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে সুনিল অ্যামব্রিসকে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান। ১৯ বলে চারটি চারে ২৩ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। হোপের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে ৩৭ রানে।
এরপর দশম ওভারে মাশরাফির তৃতীয় বলে ড্যারেন ব্রাভোর দুর্বল শট পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে বল হাতে নেন এই স্পিনার এবং তৃতীয় বলে ব্রাভোকে ৬ রানে এলবিডাব্লিউ করেন। মুস্তাফিজ তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রোস্টন চেজকে ১৯ রানে ফেরান। মাহমুদউল্লাহ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ ধরেন। জোনাথান কার্টারকে নিজের চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় শিকার বানান মোস্তাফিজ। ৩ রানে এলবিডাব্লিউ হন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান।
৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন হোপ। হাফসেঞ্চুরি করার পথে হোল্ডারের সঙ্গে শক্ত জুটি গড়েন এই ওপেনার। কিন্তু তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। অধিনায়কের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়ে মাশরাফির শিকার হন হোপ। ১০৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৮৭ রান করেন তিনি। পরের ওভারে মাশরাফি একইভাবে আউট করেন হোল্ডারকে। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ৬২ রানে ফিরে যান। পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় উইন্ডিজ। সাকিব আল হাসান তার শেষ ওভারে পান প্রথম উইকেট। ৭ রানে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে এলবিডাব্লিউ করেন বাঁহাতি স্পিনার।
মুস্তাফিজ ৪৯তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। অ্যাশলে নার্স ১৪ রানে সাব্বির রহমানের ক্যাচ হন দ্বিতীয় বলে। তিন বল পর তার চতুর্থ শিকার হন রেমন রেইফার। ৭ রানে এলবিডাব্লিউ হন তিনি।
৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং করেন। তিন উইকেট নেন মাশরাফি। অভিষেক ওয়ানডেতে ৯ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন আবু জায়েদ রাহী।
বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহি, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ একাদশ: জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ড্যারেন ব্রাভো, শাই হোপ, শেল্ডন কর্টরেল, কেমার রোচ, সুনিল অ্যামব্রিস, রেইমন্ড রেইফার, ফাবিয়ান অ্যালেন, অ্যাশলে নার্স, রস্টন চেজ ও জোনাথন কার্টার।