খবর৭১ঃ মাত্র চারজন ডাক্তার দিয়ে চলছে টাঙ্গাইল ঘাটাইলের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক, জনবল ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব সহ নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
দীর্ঘদিন ধরে ঢিলে ঢালা কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে যাওয়া হাসপাতালটিতে মোট ২১ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ৫ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ১ জন ডাক্তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। ঘাটাইলের প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে মাত্র ৪ জন ডাক্তারকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সর্ববৃহৎ হওয়ায় ইনডোর (ইমারজেন্সি) ও আউটডোর (বহিঃবিভাগ) মিলে প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬শত রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী জানান, ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে অনেক সময় ওয়ার্ড বয় দিয়ে চলে জরুরী বিভাগ ও বহিঃবিভাগ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নেই কোনো অ্যাম্বুলেন্স, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও কালার ডপলার ইকোমেশিন। এছাড়ও নেই কোন নিজস্ব জেনারেটর ও ডেন্টাল কার্যক্রম পরিচালনার উপকরণ।
জানা যায়, স্বল্প পরিসরে সিজারিয়ান ও জরুরি অপারেশনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ঠিকমত সেবা প্রদান করা যাচ্ছেনা। জরুরি রোগী আসলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এতে রোগীদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়, তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়। অপর দিকে সদর হাসপাতালে পৌছানোর আগেই রাস্তায় অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। তাছাড়া উক্ত উপজেলায় ৬টি ছাপ সেন্টার ও পঞ্চাশটি ক্লিনিক থাকলেও মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা যায়। প্রতিটি সেন্টারে একজন করে মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা থাকলেও কোনো সেন্টারেই কোনো মেডিক্যাল অফিসার নেই।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইফুর রহমান খান বলেন, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আধুনিক যন্ত্রপাতি, এ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় গরীব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো আধুনিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে চাহিদা মত সেবা দিতে পারছি না। গত কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি, অতিরিক্ত সচিব সহ একটি অডিটটিম এসেছিল। আমাদের সকল সমস্যাগুলো তাদের নজরে এনেছি। আশা করছি অচিরেই এর সুফল উপজেলাবাসী ভোগ করবে।