স্বামীকে খুন করে নিখোঁজের জিডি করতে গিয়ে স্ত্রী আটক

0
302

খবর ৭১ঃ তিন দিন ধরে স্বামীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অভিযোগ নিয়ে সিলেটের কানাইঘাট থানায় গিয়েছিলেন হোসনে আরা বেগম (২৬) নামে এক নারী। কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শেষ পর্যন্ত তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় স্বামীর লাশ। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ফারুক আহমেদ (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে কানাইঘাট বাউরভাগ দ্বিতীয় খণ্ড গ্রামে।

পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণেই খুনের এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জহির ও আবদুল্লাহ নামে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে ফারুকের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন হোসনে আরার কাছে তার সন্ধান চায়। রবিবার ভোরে কাজের জন্য বের হয়ে ফারুক আর ফিরে আসেনি বলে তাদের জানায় হোসনে আরা। মঙ্গলবার হোসনে আরা থানায় জিডি করতে যান। কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় হোসনে আরাকে থানায় রেখে ওসি আবদুল আহাদ তার বাড়িতে পুলিশের একটি দল পাঠান।

পুলিশের সদস্যরা হোসনার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে খাট ও মেঝেতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পান। সেখানে বেশ কয়েকটি পায়ের ছাপও দেখা যায়। বিষয়টি ওসিকে জানানো হেল তিনি হোসনে আরাকে জেরা শুরু করেন। এক পর্যায়ে স্বামীকে হত্যার বিষয়টি সে স্বীকার করে। বুধবার ভোরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেপটিক ট্যাংক থেকে ফারুকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ফারুককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এতে হোসনে আরাকে সহায়তা করে পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা। তাদের সঙ্গে আরও ছিল জহির ও আবদুল্লাহ। রাতেই পার্শ্ববর্তী গোরকপুর গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে ঢাকনা লাগিয়ে দেয় তারা।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, তদন্তে পরিষ্কার হয়, হোসনা আরও কয়েকজন মিলে ফারুককে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ হোসনা বেগমকে আটক করেছে। তার স্বীকারোক্তিতে আরও তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here