ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ‘ফণী’, আঘাত হানতে পারে উপকূলে

0
390

খবর৭১ঃ বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে ‘ফণী’ প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ রূপ ধারণ করে ধেয়ে আসছে ভারত ও বাংলাদেশের দিকে। এটি বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড়।

আগামী (৩ মে) শনিবারের পর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এমনই আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরা। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বুধবার (১ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ফণী সুপার সাইক্লোনে রূপ পরিগ্রহ করতে পারে। বর্তমান গতিপথে থাকলে আগামী ৩ মে বিকালে ভারতের উরিষ্যা রাজ্যের পুরী হতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলভাগে আঘাত হানতে পারে। আর গতিমুখ বদল হলে শনিবার (৪ মে) দিবাগত ভোর রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশ উপকূলে ভয়ংকর রূদ্র মুর্তিতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এখন এটি ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের দিকে রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে ফণী সাতক্ষীরা, খুলনা উপকূল পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যেদিক দিয়েই যাক না কেন, উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে ফণীর কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here