খবর৭১ঃরাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। অনেক মানুষ ভবনের ভেতরে আটকে ছিলেন আগুন নিয়ন্ত্রণের আগে। এসময় তারা বাঁচার আকুতি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করছিলেন।
অন্যদিকে নিচে হাজার হাজার উৎসুক জনতা আগুন দেখছে! হ্যাঁ, কোনো কারণ ছাড়াই তারা স্রেফ আগুন দেখতে ভিড় করেছে এফ আর টাওয়ারের নিচে; আর মোবাইলে ছবি তুলছে। দমকলের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পানির গাড়ি কোনোটাই যেতে পারছে না মানুষের ভিড়ে!
এই দৃষ্টিকটু ঘটনার সমালোচনা করছেন দেশের সচেতন সমাজ। যা দৃষ্টি এড়ায়নি তারকা অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের।
নিজের ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ‘নিমতলী, রানা প্লাজা, চকবাজারের পর আরো একটি বড় দূর্ঘটনা বনানীর এফআর বিল্ডিংয়ের নিচে জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট যেতে পারছে না ঠিকঠাক সময় মতো জায়গায়। দূর থেকে পানি দিতে হয়েছে। ‘
‘একদিকে আগুনে গ্লাস ভেঙে পড়ছে। ভেতরের মানুষগুলো বাঁচার আকুতি করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ লাফ দেয়ার চেষ্টা করছেন ৯ বা ১০ কিংবা ১১ তলা থেকে। আর অপরদিকে সবাই মোবাইল নিয়ে রেডি। কে কার থেকে ভালো অ্যাঙ্গেলে ফুটেজ নিতে পারে সেই প্রতিযোগিতা। যেখানে সবাই পানি নিয়ে সাহায্য করার কথা তারা সবাই দাঁড়িয়ে ভিডিও করছেন। দায়িত্বটা কি শুধুই প্রশাসন বা দায়িত্বরত বাহিনীদের আমরা নাগরিক হিসেবে মানবতা কি হারিয়ে যাচ্ছে!’
‘সাধুবাদ জানাই সেসব ভাইদের যারা ইমারজেন্সি লেন তৈরি করে সাহায্য হাত বাড়িয়েছেন। পুনশ্চঃ কেউ তাদের বাজেভাবে কথা বলবেন না। এবার হতে শিক্ষা নেই সামনে যেন নাগরিক হিসেবে মানবতার হাত প্রসারিত হয়, নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সঙ্গে আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের হেফাজত করুক।
খবর৭১/ইঃ