শাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত, হামলাকারীদের বহিষ্কার দাবি

0
273

খবর৭১ঃ বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজীব সরকারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার এ ঘটনার পর হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন পরবর্তী এক সমাবেশে রাজীব সরকারের উপর হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।

সূত্র জানায়, বাংলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান মিলনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মী রণদা প্রসাদ তালুকদার, রুবাইয়াত, আসহাব চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষের দলমত ভিন্নপন্থা থাকতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হয়ে কীভাবে আরেকজন শিক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালাতে পারে সেটা বোধগম্য নয়।

কারা বলেন, অপরাধী কোনো দল বা মতের হতে পারে না। অপরাধীদের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। যারা এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ন্যুনতম যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি এ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে বাংলা বিভাগেরই একজন শিক্ষার্থীও জড়িত ছিল। নিজ বিভাগের সিনিয়রকে যিনি কোপাতে পারেন তিনি তার পরিবারের যে কাউকেও কোপাতে দ্বিধাবোধ করবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

উল্লেখ্য, শনিবার শাবি ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা মুশফিকুর রহমান ভূইয়ার অনুসারি রাজিব সরকারের মাথায় ও পিঠে কুপিয়ে আহত করে সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারিরা।

রাজীবের দাবি, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম রিশাদ, আইপিই বিভাগের মাহবুব শোভন, বাংলা বিভাগের কাওসার আহমেদ সোহাগ, লোক প্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, সুজন বৈষ্ণব, আব্দুল বারী সজীব, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইফতেখার আহমেদ রানা, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের আমিনুল ইসলাম তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও পিঠে কোপায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজীবকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মাথায় ২৬টি ও পিঠে ৪০টির মতো সেলাই করা হয়।

এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পেশ করেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এর মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ ধরেননি।

অন্যদিকে সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান জানান, হামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো ধারণা নেই তার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here