দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে: ফখরুল

0
265

খবর ৭১ঃ

দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলসগীর বলেন, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থ্যা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে আমরা দেখছি, যারা সরকারের অপছন্দনীয় মানুষ তাদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদেরকে গুম করে ফেলা হচ্ছে। হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে মুক্ত করা ও মামলা প্রত্যাহার করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আমরা এই দিনটি পালন করতে চাই। আমরা আশা করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এই সংগ্রামে বিজয়ী হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বলেছি, এই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা অযোক্তিক। এর মাধ্যমে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাভিস্বাস উঠবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। আবারও বলছি, এসব কিছু উপেক্ষা করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে বিএনপি সাধ্যমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন রিপোর্টের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু মার্কিন রিপোর্ট নয়। বিবিসি, আল জাজিরা, গার্ডিয়ান, নিউইয়ক টাইমসসহ বিশ্বের বড় বড় পত্রিকাগুলো বলেছে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হয়নি। ভারতের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিষয়টি লেখা হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হয়নি এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোকে সরকার চরমভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে তারা অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারছে না। এতো প্রতিকুলতার পরও তারা অনেকেই অনেক কিছু প্রকাশ করছে। এজন্য তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। সুতরাং মার্কিন মানবাধিকার ডিপার্টমেন্ট যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, এতে কোন সন্দেহ নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ভুলতে পারি না, ২৫ মার্চ কালো রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার ও স্বাধীকার নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ ২৬ মার্চের ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে সেই স্বাধীনতা দিবস যখন উৎযাপন করতে চলেছি তখন মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। যার স্বামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, তাকে আজ অন্ধকার কারাগারে কারাভোগ করতে হচ্ছে। আজ যখন স্বাধীনতা দিবস পালন করতে যাব তখন হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। লক্ষ্যাধিক গায়েবি মামলা ২৬ লক্ষ্য মানুষকে আসামী করা হয়েছে। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা দিবসটি পালন করছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনরি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here