খবর৭১ঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের যে মসজিদে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সেখানে জুম্মার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মসজিদের প্রবেশের ঠিক আগে এক নারী তাদের সতর্ক করে দেন যে ‘মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, ভেতরে গোলাগুলি চলছে।’ এরপর ক্রিকেটারা দৌঁড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ক্রিকেটাররা দৌড়ে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের মাঠে ঢুকে যান। এই ঘটনায় তারা বেশ আতঙ্কিত।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের সময় এই গোলাগুলি শুরু হয়। এক বন্দুকধারী জুম্মার আযানের পর স্থানীয় আল নুর মসজিদে হামলা চালায়। বন্দুকধারীর হামলার অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন।
ক্রাইস্টচার্চ শহরের এই আল নুর মসজিদের পাশেই অনুশীলনে ছিলেন তামিম-মুশফিকরা। লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া সবাই অনুশীলন শেষে মসজিদে নাম পড়তে যাচ্ছিলেন।
জাতীয় দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাস তার টুইটারে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র।’
দলের কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন বলেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনে হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ক্রাইস্টচার্চে। শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে হেগলি ওভালে স্বাগতকদের বিপক্ষে খেলতে নামার কথা রয়েছে টাইগারদের।
খবর৭১/এসঃ