খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করার জন্য প্রমাণের অভাব ছিলঃ মার্কিন প্রতিবেদন

0
388

খবর৭১ঃ ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উঠেছে এসেছে বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি নানা বিষয়।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাদণ্ডে বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয়ও অনেক সময় গ্রেফতারের কারণ হিসেবে দেখানো হয়। বিএনপি দাবি করেছে গত বছর তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরীণ আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাকে অভিযুক্ত করার জন্য প্রমাণের অভাব ছিল। তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেয়া হয় বলে জানান তারা। এরপর তাকে আরো একটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার রায়ের সময় প্রায় ১৭৮৬ বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির একজন মুখপাত্র হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছে, তাদের ও জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের দেয়া তথ্যমতে গুম ও অপহরণের ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। এর বেশিরভাগের সঙ্গেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জড়িত। এসব ঘটনা রোধ ও তদন্তে সরকারি উদ্যোগ তেমন ছিল না। অধিকার জানিয়েছে গত বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮৩টি গুমের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের সংবিধান সকল প্রকার নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক আচরণ বা শাস্তিকে বে-আইনি ঘোষণা করেছে। তারপরেও গোয়েন্দা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সাধারণত সন্ত্রাসী ও বিরোধী দলের কর্মীদের থেকে তথ্য পাওয়ার জন্য নির্যাতন করে থাকে। অধিকার জানিয়েছে, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে অন্তত ৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মারা গেছে। এ ছাড়া ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমকে গ্রেফতার ও আটকের বিষয়টি উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের কারাগারের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত আসামী রাখা হয়েছে, এগুলোতে সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা নেই ও শৌচাগার সুবিধারও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এ ধরনের পরিবেশে প্রায়ই মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে কয়েদিরা। এই পরিবেশের কারণে গত বছর মোট ৭৪ কয়েদি মারা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা এখনো দুর্নীতি। ২০১৮ সালে টিআইবির জরিপ থেকে জানা যায়, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোই বাংলাদেশের সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্থ সংস্থা।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here