লালমনিরহাটে ঔষধ ফার্মেসীতে মাদকের সন্ধান

0
1305

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিসরহাটঃ ভয়াবহ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে কলেজছাত্রীদের একটি বড় অংশ টেপেন্টাডল (৫০ এমজি), ওমরফোন, ডরমিকাম (৭.৫ এমজি), ডিসোপ্যান ২, পেন্টাডল (৫০ এমজি), সিনটা (৫০ এমজি), মিলামসহ (৭.৫ এমজি) বিভিন্ন ঔষধে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে ওষধ তত্ত্বাবধায়কের নেই কোন তদারকি। ফলে এর হার শতকরা ৯০ ভাগে পৌঁছেছে বলে দাবী ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর।
ভয়াবহ মাদকাসক্তির বর্ণনা দিয়ে জানান, লালমনিরহাটের ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে টেপেন্টাডল, ওমরফোন, ডরমিকাম, ডিসোপ্যান, পেন্টাডল, সিনটা, মিলাম। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ ফার্মেসীর আড়ালে ওই ঔষধ। বিনা প্রেসক্রিপশনে ঔষধ বিক্রিতে বাঁধা না থাকায় হরমেশাই এসব ঔষধ হাতে পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর ঘুম না হওয়া, ব্যথা কমানো বা হতাশা দূর করার নামে যথেচ্ছ ব্যবহার করে রীতিমত আসক্ত হয়ে পড়ায় ধ্বংস হচ্ছে তাদের জীবন, তাদের পরিবার। গত দুই বছর ধরে টেপেন্টাডল (৫০ এমজি), ওমরফোন, ডরমিকাম (৭.৫ এমজি), ডিসোপ্যান ২, পেন্টাডল (৫০ এমজি), সিনটা (৫০ এমজি), মিলামসহ (৭.৫ এমজি) বিভিন্ন ঔষধে আসক্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন অনেকেই।
অনুসন্ধানচালিয়ে জানা গেছে, শহরের হাসপাতাল রোডস্থ, পুরানবাজার ও মিশন মোড় ঐলাকার নামী-দামী ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে টেপেন্টাডল, ওমরফোন, ডরমিকাম, ডিসোপ্যান, পেন্টাডল, সিনটা, মিলাম। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ ফার্মেসীর আড়ালে ওই ঔষধ বিক্রি করছেন। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই জড়িয়ে পড়েছেন মাদকাসক্তিতে। পরিবারের অজান্তে তারা এসব ঔষধ নির্বিচারে ব্যবহার করলেও এ নিয়ে গড়ে ওঠেনি কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা। বরং বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ঔষধ বিক্রি করায় তারা সহজেই জড়িয়ে পড়ছেন মাদকাসক্তিতে।
কি ভাবে আসক্তিতে জড়ালো জানতে চাইলে নাম প্রকাশ অনইচ্ছুক সত্যতে জানান, সম্ভবত ঘুম না হওয়া, শরীরে ব্যথা কিংবা কোনো কারণে হতাশায় ভোগা নিয়ে মাদকাসক্তর পরামর্শেই এসব ঔষধ খেতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে তা আসক্তিতে পরিণত হয়। এসব ঔষধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাজারে হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। আর তা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এখন অধিকাংশ কলেজছাত্ররা এতে আসক্ত।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এসব ঔষধের দাম গড়ে ১০-১১ টাকা। কিন্তু বাজারে সংকট থাকায় ৮০-১০০ টাকাও নেয় ফার্মেসি মালিকেরা। অধিকাংশ স্কুল/কলেজ পড়–য়া ছাত্র এখন মাদকাসক্ত। এখনই এর প্রতিকার হওয়া দরকার। তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিপর্যয় দেখা দেবে। তারা তাদের ছেরেকে চিকিৎসা করালেও মাদক থেকে ফেরাতে পারছেন না।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সিভিল সাজর্ন আবুল কাশেম বলেন, এসব ঔষুধ ক্ষতিকর। এগুলো যাতে বিনা প্রেসক্রিপশনে বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here