খবর৭১ঃ একনাগাড়ে দীর্ঘসময় বসে থাকার কারণে ওজন ও ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ায় সেই বাড়তি চাপ গিয়ে পড়ে হাঁটু-কোমরে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়েবে হাড়ের সমস্যাও।
যেসব কারণে সমস্যা হয়:
১। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত রোদ না লাগলে ভিটামিন ডি- এর অভাব হয়ে ব্যথা বাড়তে পারে।
২। দিনের শেষে আরাম কেদারায় গা এলিয়ে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা মারার বদভ্যাস আছে অনেকেরই। কিন্তু এতে কোমর, হাঁটু ও ঘাড়ের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।
৩। কম্পিউটারে কাজের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে টেবিলের এক পাশে থাকে মনিটর, মুখের সামনে কীবোর্ড। ফলে কাজ করার সময় ঘাড় বেঁকে থাকে। তারই ফল, ঘাড়ে শক্ত ভাব, ব্যথা।
৪। কীবোর্ডে আঙুল চালাতে চালাতে আঙুল ব্যথা হয়, কব্জির স্নায়ুতে চাপ পড়ে কব্জি ব্যথা থেকে কারপাল টানেল সিনড্রোম পর্যন্ত হতে পারে।
৫। সাধারণ চেয়ারে বসে কাজ করলে ভালো সাপোর্ট থাকে না বলে বাড়ে কোমর ব্যথা।
৬। চেয়ার–টেবিলের উচ্চতা ঠিক না থাকলে ঘাড়ে-কোমরে সমস্যা হতে পারে।
৭। টানা ঘণ্টা খানেক কাজের পর ৫-৭ মিনিট ছুটি নিন। দু-একটা স্ট্রেচিং করুন।
৮। হাঁটু ব্যথা এড়াতে চেয়ারে বসে পা টেবিলের নীচে রাখা অবস্থায় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক মিনিট থাইয়ের পেশি শক্ত ও ঢিলে করুন।
৯। কাজ করতে করতে ঘাড় শক্ত লাগলে চেয়ারে মাথা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকুন মিনিট খানেক। মাথা ডানে-বাঁয়ে ঘোরান দু-চার বার।
১০। আঙুল ও কব্জি ব্যথা করলে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দিন। অবসর পেলে হাত মুঠো করুন, খুলুন। হাত মুঠো করে কব্জিকে বিভিন্ন দিকে ঘোরান।
১১। কব্জি ব্যথা হলে গরম পানিতে ডুবিয়ে হাত মুঠো করুন ও ছাড়ুন।
১২। ব্যথা-বেদনা কম রাখতে পাতলা তুলোর তোশকে মোটামুটি ২ ইঞ্চি মতো উচ্চতার তুলার বালিশে ঘুমান। ৬ মাস-এক বছর অন্তর বালিশ বদলান।
১৩। টিভি এমন জায়গায় রাখুন যাতে চিত হয়ে শুয়ে দেখা যায়।
১৪। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন।
যেসব খাবার খাবেন:
ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন, ডিম, দুধ, দই, ছানা, চিজ, মাংস, ছোট মাছ, খেজুর, নাসপাতির সঙ্গে পর্যাপ্ত ভাত, রুটি, ডাল, শাক-সবজি খান।
খবর৭১/জি