খবর৭১ঃডাকসু নির্বাচনে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভোটারদের লাইন ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানির নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রলীগের অবস্থানের ভয়ে অনেকেই ভোট দিতে আসছে না। ছাত্রলীগ হলের প্রবেশমুখ থেকে ভোটার লাইন নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে ভোটের লাইন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি হলের রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে এসে ছাত্রলীগের ধাওয়ার মুখে পড়েন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ভিপি পদপ্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।
তার অভিযোগ, মুহসীন হলের গেট দিয়ে ঢুকে হলের আবাসিক শিক্ষকদের বাসভবন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি হামলার শিকার হন।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভোটারদের লাইন মেহেদী হাসান সানি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। দেখি কী করা যায়।
তবে ছাত্রলীগ নেতা সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কোনো নিয়ন্ত্রণ করছি না আমরা। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আছে।
এদিকে ভোট শুরুর আগে সুফিয়া কামাল হলে ব্যালট বাক্স না দেখানোর প্রতিবাদে ভোট প্রদান বন্ধ রেখে বিক্ষাভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ট্রাংকভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়ার পর রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ