দ্বিতীয় দিনও ভেসে গেল বৃষ্টিতে

0
346

খবর ৭১ঃ
মূলত টেস্ট ক্রিকেট পাঁচ দিনের হলেও, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার চলতি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি হতে চলেছে তিন দিনের। পূর্ব নির্ধারিত নয়, বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে ম্যাচের প্রথম দুই দিনই। সম্ভব হয়নি টস করাও।

শুক্রবার ম্যাচের প্রথম দিন ‘স্টাম্পস’ ঘোষণা করতে আম্পায়াররা সময় নিয়েছিলেন কেবল ৪ ঘণ্টার একটু বেশি। শনিবার দ্বিতীয় দিন মেঘের লুকোচুরি খেলার কারণে সবাইকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ৬ ঘণ্টা। কিন্তু থেমে থেমে বৃষ্টি চলতেই থাকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো টস ছাড়াই ‘স্টাম্পস’ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন দুই আম্পায়ার।

ওয়েলিংটনের আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে বলাই ছিলো শুক্র এবং শনিবার হবে টানা বৃষ্টি। ধরেই নেয়া হয়েছিল হয়তো প্রথম দুই দিন একটি বলও মাঠে গড়াবে না বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের।
এমনকি প্রকৃতির অবস্থা দেখে দ্বিতীয় দিন তথা শনিবার দুই দল টিম হোটেল থেকে মাঠেও এসেছে প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পরে। যেখানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর কথা ছিলো নির্ধারিত সময়ের ত্রিশ মিনিট আগে। তবু মুষলধারে বৃষ্টির কারণে একদমই আশা ছিল না দ্বিতীয় দিনে খেলা হওয়ার।
তবে শনিবার সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়াতেই বেসিন রিজার্ভে মেলে আশার আলো, থেমে যায় মুষলধারে চলতে থাকা বৃষ্টি। এমনকি আকাশে জমে থাকা মেঘও সরে যেতে শুরু করে ওয়েলিংটনের আকাশ থেকে। যে কারণে ম্যাচের আম্পায়াররা মনে করছিলেন হয়তো অন্তত এক সেশনের জন্য হলেও খেলা যাবে দ্বিতীয় দিনে।

সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮.৪৫ মিনিটে আরেক দফায় পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণে নামার কথা ঠিক দুই আম্পায়ার পল রেইফেল এবং রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে। কিন্তু তখন আবার শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। তবু আকাশ পরিষ্কার থাকায় আশা ছিলো খেলা শুরু করার। কিন্তু বৃষ্টি আর না থামায় সম্ভব হয়নি দ্বিতীয় দিনের খেলাও।

তবে বৃষ্টি থামার পর ওঠানো হয়েছে পিচের কভার। ফলে প্রথমবারের মতো দেখা মিলেছে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটের। যেখানে ঘাসের আধিক্য এত বেশি যে আউটফিল্ডের সঙ্গে উইকেটকে আলাদা করা বেশ মুশকিল কাজই বটে। এ উইকেটে দুই দলের পেসাররাই হবেন ম্যাচের গতি নির্ধারক- তা বলে দেয়াই যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here