যশোরের শার্শায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

0
312

খবর৭১:জাহিরুল ইসলাম মিলন, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ প্রকৃতি বসন্ত সাজ সাজ রবে মুখরিত। বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে ধরনী সেজেছে আমের হলুদ মুকুলে। সারা দেশের মত আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত যশোরের শার্শা। ফাল্গুনের শুরুতে মুকুলের প্রস্ফুটিত হাসিতে উপজেলার আম বাগানগুলি ছেয়ে গেছে। মুকুলের মৃষ্টিগন্ধ প্রকৃতিকে আগাম মধুমাস জ্যৈষ্ঠের জানান দিচ্ছে।

প্রাকৃতিক নিয়মে ফাল্গুনে আমের মুকুল আসার কথা থাকলেও এবছর মাঘের মাঝেই মুকুলের দেখা মিলেছে। আগাম মুকুলগুলি শীতের জড়তা কেটে ফাল্গুনে প্রস্ফুটিত হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক গাছে মুকল থেকে কুঁড়ি আমের দেখা মিলছে।

আম চাষে যশোর জেলা এখন অন্য জেলা থেকে কোন অংশে কম নয়। যশোরের শার্শায় এখন বিভিন্ন জাতের আম বানিজ্যক ভাবে চাষ হচ্ছে। এখানে উৎপাদিত আম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয় ।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ‘উপজেলায় এবার তুলনামূলক বেশি মাত্রায় আমের বাগান আছে। যার প্রায় ৮০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। এই সকল জমি থেকে প্রচুর পরিমাণে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি, আম্রপালি, লক্ষণভোগ, লকনা জাতের আমের চাষ বেশি হয়েছে। আমের ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছরই শার্শায় বাগানের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, প্রতিটি বাগানেই মুকুলে ছেয়ে আছে। মুকুলের ভারে গাছের শাখা-প্রশাখাগুলি মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

মুকুলে বিভিন্নপ্রকার কীটনাশক স্প্রের কাজ শুরু করেছেন চাষীরা। আর কয়েকদিন পরে মুকুল ঝরে সবুজ কুঁড়ি আমের দেখা মিলবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর আমের ফলন আশানুরূপ ভালো হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকেরা।

বাগানে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত দেখেও কথা বলতে চাইলে উপজেলার পশ্চিম কোটা গ্রামের আমচাষী রফিকুল ইসলাম বলেন,‘ তার চার বিঘা আমের বাগান রয়েছে। গত বছর তার বাগানে যে পরিমান মুকুল এসেছিলো এবছর তার চেয়ে দ্বিগুন মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে।

আমচাষী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবছর বাগানের প্রচুর পরিমানে মুকুল এসেছে। কিছু গাছে আমের নতুন কঁড়ি দেখা দিচ্ছে। রোগ বালাইয়ের হাত থেকে আম রক্ষা করতে কীটনাশক স্প্রের কাজ চলছে। আশা করা যায় এবছর আমের ফলন ভালো হবে।’

‘সরকারি পৃষ্ঠপষোকতার পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে এই অঞ্চলের আম দেশের বাহিরেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয় আমচাষীরা আশা করছেন ।’

উপজেলা কৃষি অফিসের মতে, ‘এবছর উপজেলার বাগানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও পোকার আক্রমণ থেকে আমের মুকুলকে রক্ষা করা গেলে এই অঞ্চলের আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।’
খবর৭১?জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here