খবর৭১:প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুলেছেন পাকিস্তানের সরকার দলীয় রাজনীতিবিদরা। তারা মনে করেন, ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে ‘উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখার’ স্বীকৃতি স্বরূপ ইমরান খানকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-আফগান তালেবান শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের ভূমিকা রাখার কথাও উল্লেখ করেছেন তারা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, ইমরানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি জোরালো করতে দেশটির সংসদের নিম্ন কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। সোমবার এ প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ জন সদস্য। এর দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মোহাম্মদ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালায়। তাদের দাবি জইশ ই মোহাম্মদের ঘাঁটিতে চালানো এ হামলায় বহু জঙ্গি মারা গেছে। এর জবাবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বিমান পাঠায় ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সীমান্তে। সেখানে দুই পক্ষের বিমানযুদ্ধের পর পাকিস্তানের হাতে আটক হন ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘উত্তেজনা প্রশমনে সদিচ্ছার প্রতীক’ হিসেবে তাকে মুক্তি দেন গত ১ মার্চ।
শনিবার (২ মার্চ) পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জমা দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ধৃত ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ইমরান খান দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ও আফগান তালেবানের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনাতেও ইমরান খানের ভূমিকা রয়েছে। তাই তার ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।’
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার সূত্রে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু লক্ষ্য করা মতো বিষয় হচ্ছে, পাকিস্তানের বিরোধী দল এ বিষয়ে কী অবস্থান নেয় তা।আগামী সোমবার প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে
খবর৭১/জি