খবর৭১ঃ দেশের জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করেছো কিন্তু গ্যাস থেকে বঞ্চিত না করার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশিষ্ট কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ যারা রান্না করে খায়, তারা জানে তাদের গ্যাসের কি সংকট। সরকারের উচিত ছিল এ সংকট দূর করার। কিন্তু সরকার আরও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন, এখন গ্যাসের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চান। এটা মানবাধিকার লংঘন। এ মানবাধিকার লংঘন করে জনগণের মনে আঘাত দিবেন না।’
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল মকসুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করে তার ডাবল দাম দিয়ে থাকেন। মানুষ গ্যাস দিয়ে রান্না করতে পারে না কিন্তু দাম ঠিকই দিতে হয়। এছাড়াও সারা দেশে সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করায় জেলা-উপজেলায় বেশি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব বিষয়ে সরকার ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি শুধু জনগণের পকেট কাটে ব্যবসায়ী আর কমিশন ভোগীদের স্বার্থ রক্ষায়।’
এ সময় তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য ১১ মার্চ যে গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর পায়তারা বন্ধ না করলে ১১ তারিখের আগেই বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় তারা কিছু দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো:
গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে; বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ সকল সদস্যদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় নিয়মমতো গ্যাস ও সারাদেশে ন্যায্যমূল্য নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার দিতে হবে; গ্যাস খাতে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ করতে হবে; শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে স্থলে ও সমুদ্র বক্ষের গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এলএনজি আমদানির নামে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে ব্যবসায়ী কমিশনভোগীদের পকেট ভারী করার নীতি বন্ধ করতে হবে।
সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজেকুজ্জামান রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, নাগরিক আন্দোলনের নেতা শরিফ উদ্দিন শরীফ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ
