পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় প্রতিবন্ধি স্ত্রীকে নির্যাতন করার ঘটনায় যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ স্বামী সহ দুই ভাইকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার লক্ষ্মীখোলা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য কেএম আক্তারুজ্জামান মিন্টু তার শ্রবণ প্রতিবন্ধি মেয়ে মারিয়া আক্তার মৌ’কে ২০১৬ সালে একই এলাকার বেলায়েত আলী হাওলাদারের ছেলে খানজাহান আলী হাওলাদারের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর হতে স্বামী খানজাহান তার ভাই বজলুর রহমান ও অরুনা বেগম নামে এক মহিলার কু’পরামর্শে ব্যবসা করার কথা বলে মারিয়ার পরিবারের নিকট ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের দাবিতে খানজাহান স্ত্রী মারিয়ার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিস বিচার করা হয়। শালিসে যৌতুকের টাকা দাবি করবেনা মর্মে ওয়াদা করলেও পরবর্তীতে পুনরায় স্ত্রীর উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু করে। গত ২৫ জানুয়ারী যৌতুকের টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী মারিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী ও তার লোকজন। পরে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে স্বামী ও তার লোকজন বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য শ্বশুর আক্তারুজ্জামানের বাড়িতে যায়। বসাবসির এক পর্যায়ে তারা মারিয়ার নিকট আবারও ব্যবসা করার জন্য ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করায় উত্তেজিত হয়ে মারিয়া ও তার পরিবারকে বেদম মারপিট করে। এ ঘটনায় মারিয়ার পিতা আক্তারুজ্জামান মিন্টু বাদি হয়ে খানজাহান, অরুনা বেগম ও বজলুর রহমানকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। যার নং- ৩২, তাং- ৩১/০১/২০১৯ ইং। পুলিশ মামলার দুই আসামী খানজাহান ও বজলুকে আটক করে জেল হাজতে পাঠালেও অরুনা বেগম রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী মিন্টু জানান, মামলার আসামী অরুনা একজন প্রতারক। এলাকার সবাই তাকে প্রতারক হিসাবে চেনে। অরুনার কারণেই আমার মেয়ে মারিয়া ঘর সংসার করতে পারছে না। তার পরামর্শেই খানজাহান যৌতুকের দাবীতে শ্রবণ প্রতিবন্ধি মেয়েকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। মেয়ের ভবিষ্যত সুখের জন্য অরুনাকে গ্রেফতার করে সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন মারিয়ার পরিবার