খবর ৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন করতে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ফলে ডাকসু নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, গত বছরের ১৭ জনুয়ারি হাইকোর্ট ৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করতে রায় দেয়। একই সঙ্গে নির্বাচনে নিরপত্তা দিতে আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ঢাবি কর্তৃপক্ষ আপিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবদেন জানায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আদেশ দেন। আজ রোববার সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২৫ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট গত ১৭ জানুয়ারি ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মোট ৩৬ বার ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। এরপর থেকে বন্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ অনুযায়ী সিনেটের ১০৪ সদস্যের মধ্যে ৫ জন থাকবে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে ছাত্র স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করতেন এ ছাত্র প্রতিনিধিরাই। কিন্তু এখন ডাকসু নির্বাচন না থাকায় সিনেটে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিও নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি-দাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন হয় না।