ড. কামালের পক্ষে সব রকম কথা বলা সম্ভব: অ্যাটর্নি জেনারেল

0
235

খবর৭১ঃফৌজদারি মামলায় যদি কোনও ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের এই আদেশ কোনো বিশেষ দলের বিষয় না। সর্বজনীনভাবে যারা সংসদ সদস্য হতে চান, তাদের সবার জন্যই এই আদেশ প্রযোজ্য।’

রোববার সুপ্রিমকোর্টের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে দুই বছরের বেশি যারা সাজা প্রাপ্ত হয়েছেন, তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই আজকের আদেশটি অবশ্যই মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি অপরাধ করে তারপর আবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন-এটা আমাদের সংবিধান প্রণেতারা চাননি। যে কারণে ১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধানে সেটি সন্নিবেশিত করেছেন।’

সংবিধান প্রণেতাদের একজন ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন।’তার এই বক্তব্যের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘তিনি সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে একজন। ষোড়শ সংশোধনীতে তিনি যে ডিগবাজি খেয়েছেন। ওনার পক্ষে সব রকম কথা বলা সম্ভব।’

সরকার বিচার বিভাগের মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে বলে বিএনপি আইনজীবীদের অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় যদি কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা বিশেষ কোনও দলের বিষয় না। সর্বজনীনভাবে সব লোকের জন্য প্রযোজ্য, যারা সংসদ সদস্য হতে চান। তবে বিষয়টি খুব শক্তভাবে ধরার ফলে এখন থেকে যারা নির্বাচন করবেন, রাজনীতি করবেন, তারা নিজেদের কলুষমুক্ত রাখবেন। তাদের কাছে একটা ম্যাসেজ যাবে-জনপ্রতিনিধি হতে হলে তাকে সৎ হতে হবে, মামলা মোকদ্দমায় যাতে দণ্ডপ্রাপ্ত না হন, এমন কাজ তারা করবেন না।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম জানান, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দণ্ডিত ব্যক্তিকে নির্বাচনে সুযোগ দেয়া সংবিধানের অবমাননা বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য পদে থাকা অবস্থায় দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্য পদ চলে যাবে। এ বিষয়ে এরশাদের মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আছে।’

প্রসঙ্গত, রোববার যশোর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানা মুন্নীকে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ডের মেয়াদ দুই বছরের বেশি হলে দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here