জাহিরুল ইসলাম মিলন: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর-৮৫/১, (শার্শা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের ৫ জন বর্তমান সাংসদসহ পরিচিত-অপরিচিত নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী তাদের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
শুক্রবার ও গতকাল শনিবার উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকার ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় এবং পাশের নির্বাচনী পরিচালনা অফিস থেকে যশোর ৮৫/১,(শার্শা) আসনের এসব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। যশোরের শার্শার এ আসন থেকে ৫ জন মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে মনোনয়ন প্রাপ্তির আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে যশোরের শীর্ষ নেতারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। শুক্রবার আবেদনপত্র সংগ্রহকারী নেতাদের কেউ কেউ শনিবার তা জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রার্থী হওয়ার প্রাথমিক এই কার্যক্রমের পাশাপাশি অনেকে প্রতীক নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেছেন।
বিভিন্ন মাধ্যম ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনের সাবেক মহাপরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মুজিবুদ্দৌলাহ সরদার কনক, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর অ্যাডভোকেট ড. এ কে এম আখতারুল কবীরের পক্ষে তাদের সমর্থক নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এ ঘটনা জানাজানি হবার পর এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এক নৌকার হাল ধরতে এই ৫ মাঝির যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আসল মাঝি হিসেবে মনোনীত হয় কে তা দেখা ও জানার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন অধীর আগ্রহে। বর্তমানে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন নিজ নিজ অনুসারী দলীয় নেতারাও।
আগামী ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তবে কে হাসবেন, কে কাঁদবেন, এ জন্য অপেক্ষা করতে আরো তিন দিন। তবে এই পরিচিত-অপরিচিত ৫ প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। এ অঞ্চলের সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন ও বেনাপোলের মেয়র লিটন ছাড়া বাকী ৩ মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাকে অধিকাংশ ভোটার চেনেনা , তাদের নিজ এলাকা সহ পুরো শার্শা আসনে কোন প্রকার বিন্দুমাত্র সাংগঠনিক তৎপরতা নেই ৷ তাদের মনোনয়ন চাওয়াটা এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
খবর ৭১/ইঃ