এবি সিদ্দিক খসরু নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন ভূইয়া ‘নানার হাতে দেশ, মা’র হাতে উন্নয়ন, নাতির হাতে ডিজিটালে আলোকিত সোনার বাংলাদেশ’ স্লোগানে নান্দাইল উপজেলা সদরে ৫২৫ ফুট লম্বা ডিজিটাল উন্নয়ন ব্যানার টাঙ্গিয়ে বর্তমানে নান্দাইলে আলোচনায় রয়েছেন। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সারা দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের একটি সচিত্র বিলবোর্ড নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে উপজেলা সদরে লাগিয়েছেন। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জননেত্রী শেখ হাসিনা তারুণ্যের অহংকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি এই বিলবোর্ডে স্থান পেয়েছে। আব্দুল মতিন ভূইয়া বুধবার রাতে (৩১শে অক্টোবর) নান্দাইলের কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকদের জানান তিনি ১৯৭৬ সনে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। তৎকালীন সময়ে নান্দাইল থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক থানা আওয়ামীলীগের যুব সম্পাদক ১৯৮১ইং সনে নান্দাইল থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, ১৯৮৩ সনে থানা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক, ১৯৯০ ও ১৯৯৫ সনে পর পর দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সন পর্যন্ত মোট ২৬ বছর নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরেন। ভাষা সৈনিক বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান সাবেক গর্ভণর ও এমপি জননেতা মরহুম রফিক উদ্দিন ভূইয়ার হাত ধরে তিনি আওয়ামীলীগে প্রবেশ করেন। ১৯৯০ সনে বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি জানান জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে দেশের উন্নয়ন বিঘ্নিত হবে। বিলবোর্ড গুলোতে মনোনয়ন প্রত্যাশী এধরনের কোন কথা ব্যবহার না করে শুধু মাত্র উন্নয়ন প্রচার করেছেন যা একটি ব্যতিক্রম উদাহরণ। সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বর্তমান নতুন প্রজন্ম তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিষয়ে অবহিত নয়। তিনি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করবেন এবং নির্বাচনী বোর্ডের নিকট জমা দিবেন। নেত্রী যদি থাকে মনোনয়ন দেয় তবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবেন। আর কোন কারনে মনোনয়ন না পেলেও জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিবেন তার পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। উল্লেখ্য নান্দাইল উপজেলায় তথা অত্র এলাকায় এত বড় বিলবোর্ড ইতিপূর্বে আর দেখা যায় নাই। প্রতিদিন শত শত জনগণ রাস্তার পাশে দাড়িয়ে বিলবোর্ডগুলো পড়তে দেখা যায়। এসময় আলাপ চারিতায় সাথে ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মো. এবি সিদ্দিক খসরু ও মো. কামরুজ্জামান খান গেনু।
খবর৭১/ইঃ
