সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাব গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত: রিজভী

0
262

খবর ৭১ঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারী জোটের সংলাপে সরকারের একগুঁয়েমী মনোভাব গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় ধরণের অশনি সংকেত। সংলাপে মানুষের মনে যে আশাবাদ জেগে উঠেছিল, সংলাপ শেষে সেই আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে। সংলাপ শেষে ৭ দফা দাবির প্রতি সাড়া না দেয়ায় আওয়ামী অনঢ়তায় সুষ্ঠু নির্বাচনের অগ্রগতি তিমিরাচ্ছন্ন হলো। আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, সংলাপের জিগির তুলে একদিকে জনগণকে দেখাচ্ছে তারা কত আন্তরিক, অন্যদিকে সমানতালে নিষ্ঠুরতা ও পাশবিকতা অব্যাহত রেখেছে। গতকাল নিশ্চয়ই সংবাদপত্রে দেখেছেন-গায়েবী মামলায় ঝিনাইদহে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত পল্লী চিকিৎসক ও বৃদ্ধ আব্দুল বারীর পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলার বিকট অমানবিকতার দৃশ্য। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপের ভাষণে রাজনৈতিক মামলায় কারা আছেন তাদের তালিকা চেয়েছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। তাঁর দশ বছরের শাসনামলে বিরোধী দলের কাদের নামে মামলা দিয়ে বারবার কারাগারে ঢোকানো হচ্ছে সেটি কী প্রধানমন্ত্রীর অজানা? গতকাল সংলাপ শেষ হওয়ার পরই আমরা দেখলাম-টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসলে পুলিশী শক্তির ব্যবহার ছাড়া আওয়ামী জোট সরকারের আর কোন ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করা মানে তাঁর ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীতি বাস্তবায়ন করা। সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখাতে থাকলে মাথা উঁচু করে সাত দফা দাবি রাজপথেই আদায় করতে হবে। দুর্জয় সাহস নিয়ে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবে। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, অন্যায় অবিচারে বন্দী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হবে আত্মঘাতি। দেশকে গণতন্ত্রমূখী করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আর নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন করা হবে মৃত্যুকূপে ঝাঁপ দেয়া। যে সরকার জনমতকে পাত্তা দেয় না সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করা বোকার স্বর্গে বাস করা। রিজভী অভিযোগে করেন, জাতীয় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাশুন্য করে একতরফা নির্বাচনের নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র হাতে থাকলে সবকিছুই করা যায়। ক্ষমতাসীনদের মামলাগুলো ঝরে যায় আর বিরোধীদেরগুলো পুষে রাখা যায়। হানাদারী দু:শাসনে যাদের হাতে বন্দুক থাকে তাদেরকে সবাই ভয় পায়। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন আদালত সবাই নতজানু রাষ্ট্রীয় বন্দুকধারীদের কাছে। সরকারের নির্দেশ ছাড়া কারোরই টু শব্দ করার জো নেই। বাংলাদেশে আইনের শাসন সীমাহীন দূরে নক্ষত্রম-লীতে অবস্থান করছে।
শেখ হাসিনার ক্রোধের শিকার খালেদা জিয়া এবং তাঁর সন্তান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই গণবিচ্ছিন্ন পরনির্ভরশীল আওয়ামী সরকার জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের যে মানচিত্র করেছে সেই অঙ্কিত নকশানুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here