খবর ৭১ঃ ২০১৯-২০২১ মেয়াদে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সরাসরি ও গোপন ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ১৭৮ ভোট পায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১৮টি শূন্য আসনে সদস্য পদের নির্বাচন হয় একসঙ্গে। এর মধ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের পাঁচটি আসনের সদস্য নির্বাচিত করা হয়।
এতে সর্বোচ্চ ১৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে ভারত। বাকিরা হলো- বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপিন্স। গোপনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনে বিজয়ীরা ১ জানুয়ারি থেকে তিন বছরের (২০১৯-২০২১) জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
সারা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করে জেনেভাভিত্তিক এই সংস্থা। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানবাধিকারের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলল বলে মনে করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, বিশেষ করে রোহিঙ্গা রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়ার পর তাদের দেখভালের দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের ভূমিকার ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামগ্রিক অর্থেই এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের মহাসড়কে উঠার কথা অনেক আগে থেকেই সর্বমহলে উচ্চারিত হচ্ছে। উন্নয়নের সেই অভিযাত্রায় মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের সর্বস্তরে কাজে দারুণ এক উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছি।
২০০৬ সালের সাধারণ অধিবেশনে ৫টি অঞ্চলের ৪৭ সদস্য নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গঠন করা হয়। এর মধ্যে আফ্রিকা অঞ্চলের ১৩, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের ১৩, পূর্ব ইউরোপের ৬, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয়ান রাষ্ট্রসমূহের ৮ এবং পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চল মিলে ৭ সদস্য পদ রয়েছে।
উল্লেখ, ইউএনএইচআরসির ২০১৯-২১ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হতে জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। এর আগে বাংলাদেশ ২০০৭-০৯, ২০১০-১২ এবং ২০১৫-১৭ মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিল।