সুন্দরগঞ্জে বোয়াসীনের সঙ্গে পরকীয়া ॥ অতঃপর….(!!!)

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ভাসুর-বোয়াসীনের পরকীয়ার ঘটনা মীমাংসার নামে ধামাচাপা দিতে গিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন শালিসকারীরা।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১০ আগষ্ট) বিকালে উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটী খাঁনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বোয়াসীনের সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনা সালিশের নামে ধামাচাপা দিতে ভাসুর মোস্তাফিজুর রহমান খাঁনের প্রতি অমানবিক নির্যাতন হয়েছে। ছাপড়হাটী ইউপি’র ৯ নংন ওয়ার্ড সদস্য- নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সালিশে ভাসুর মোস্তাফিজুরকে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে পাড়া ঘোড়া, থু মাটিতে ফেলে তা চেটে খাওয়া, বোয়াসীন (২ সন্তানের জননী) ও তার স্বামী আক্কাস আলীর পা ধরে ক্ষমা নেয়া ছাড়াও শারীরিকভাবে অমানবিক নির্যাতন করেন সালিশকারীরা। নির্যাতিত মোস্তাফিজুর ঐ বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী পদে চাকরি করেন। সে সুবাদে বিদ্যালয় সংলগ্ন আক্কাস আলীর স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৭-৮ মাস থেকে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক অতঃপর অবাধ মেলামেশা চালিয়ে আসছিল। এরই একপর্যায়ে গত বুধবার দিন গত রাতে বোয়াসীনের শয়ন ঘরে তারই সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকালে স্থানীয়রা দু’জনকেই আটক করেন। এব্যাপারে মোবাইল ফোনে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে; সালিশের সভাপতি নুরুল ইসলাম (ইউপি সদস্য), বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল খায়ের খাঁন, আলহাজ্ব হযরত আলী খাঁন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, নির্যাতিত মোস্তাফিজুর রহমান খাঁন, আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য সালিশকারী ও স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান- কনক কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনা ওরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করেছেন।