৩ সিটিতেই এগিয়ে নৌকার প্রার্থীরা: জয়

0
265

খবর৭১ঃ তিন সিটি করপোরেশনেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা জনসমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিএস) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের করা জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (২৯ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্যটি তুলে ধরেন তিনি।

জরিপের তথ্য মতে, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাজশাহীতে, বরিশালেও বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে, আর সিলেটে এগিয়ে থাকলেও বিএনপির তুলনায় কম।

জরিপের ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে- বরিশালে নৌকা প্রতীকের সেরনিয়াবাত সাকিদ আবদুল্লাহর পক্ষে ৪৪ শতাংশ মানুষ সমর্থক জানিয়েছেন। সেখানে ধানের শীষে বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ারের পক্ষে বলেছেন ১৩.১ শতাংশ মানুষ। আর ০.৮ শতাংশ ভোটার অন্যদের কথা বলেছেন যেখানে ২৩ শতাংশ ভোটার কারও সিদ্ধান্ত নেননি এখনও। আর ১৫.৯ শতাংশ ভোটার তাদের মত জানাতে রাজি হননি। বরিশালে মোট এক হাজার ২৪১ জন ভোটারের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়েছে।

জরিপ অনুযায়ী, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ব্যবধান আরও বেশি। সেখানে নৌকা প্রতীকের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে বলেছেন ৫৮ শতাংশ ভোটার। বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে বলেছেন ১৬.৪ শতাংশ। আর অন্যান্য প্রার্থীর কথা বলেছেন ০.৯ শতাংশ। ১২.৩ শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্ত নেননি আর ৯.৬ শতাংশ তাদের মতামত জানাতে রাজি হননি। রাজশাহীতে জরিপটি চালানো হয়েছে মোট এক হাজার ২৯৪ জন ভোটারের মধ্যে।

তবে সিলেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে এই জরিপে, যদিও সেখানে সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সেখানে বলেছেন ৩৩ শতাংশ ভোটার। আর ধানের শীষে আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে বলেছেন ২৮.১ শতাংশ। অন্য দলের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ১.৩ শতাংশ। আর সিদ্ধান্তহীনতায় ২৩ শতাংশ। সিলেটে মোট এক হাজার ১৯৬ জন ভোটারের মধ্যে জরিপটি চালানো হয়েছে। এ সিটিতে মতামত জানাতে রাজি হননি ১২.৬ শতাংশ।

জয় জানান, নির্বাচন কমিশনে ভোটার তালিকা ছাড়াও ২০১১ সালের আদমশুমারীতে উঠে আসা জনমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই তিন মহানগরে জরিপের নমুনা বাছাই করা হয়েছে। আর এই জরিপে বিচ্যুতি অর্থাৎ ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ধরা হয়েছে ২.৫ শতাংশ।

জয় লেখেন, তিনি গত পাঁচ বছর ধরেই ভোট নিয়ে আরডিসিকে দিয়ে জরিপ চালিয়ে আসছেন। তারা যে পদ্ধতিতে জরিপ চালায় এবং তার যে ফলাফল আসে, সেটি সঠিক বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তবে জরিপের ফলাফল আর ভোটের ফলের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে, সেটিও স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী পুত্র।
তিনি লেখেন, গত মধ্যরাত পর্যন্ত পুরোদমে যে প্রচার চলেছে তাতে শেষ পর্যন্ত ভোটের হিসাবে কিছুটা প্রভাব পড়তেই পারে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করতে বিএনপির ভোটকেন্দ্র গোলযোগ ও ব্যালটে সিল মারার বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটে গোলযোগ করার ‘চক্রান্ত নিয়ে’ বিএনপি নেতার ফাঁস হওয়া মোবাইল ফোনের কথোপকথনের কথাও তুলে ধরেন জয়। বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীরা বুঝে গেছে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণে তারা এই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে আওয়ামী লীগের বদনাম করার চেষ্টা করবে।’
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here