খবর৭১ঃ শুক্রবার পবিত্র হজ, মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্মিলন। সৌদি এটি আরাফা দিবস হিসেবে গৃহীত। এদিন সূর্যোদয়ের পর আরাফাতের মযদানে যাবেন হাজিরা, যেখানে ১৪০০ বছর আগে হযরত মুহাম্মদ (স.) তাঁর চূড়ান্ত ভাষণ (খুতবা) দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে মিনা উপত্যকার বিস্তীর্ণ শিবিরে যান। হাজিরা হেঁটে বা বাসে করে সাত কিলোমিটার দূরে মিনায় যান, যেখানে তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাদা তাঁবুতে রাত কাটিয়েছেন। এর পর সাদা দুই টুকরা কাপড়ে শরীর ঢেকে ফজরের নামাজের পর রওনা দিয়েছেন এতিহাসিক আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে। খবর আরব নিউজের।
‘আমার বেশ ভালো লাগছে, এটি প্রভুর কাছাকাছি হওয়ার জন্য’ বলেন তিউনিসিয়ার খালেদ বিন জোমা (৪৪), যিনি একটি ছাতা এবং একটি প্রার্থনার মাদুর নিয়ে পায়ে হেঁটে যাত্রা করেছিলেন মিনার পথে।
হাজিরা শুক্রবার আরাফাতের পর্বতে আরোহণ করবেন যেখানে মহানবী(স.) তার চূড়ান্ত খুতবা দিয়েছিলেন।
তাঁরা পাহাড়ে কয়েক ঘণ্টা প্রার্থনা এবং কোরআন তেলাওয়াত করবেন। এর পর কাছাকাছি জায়গায় ঘুমাবে।
শনিবার তারা নুড়ি সংগ্রহ করে প্রতীকী শয়তানের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
পবিত্র হজে গিয়ে অনুভূতি জানাচ্ছেন অনেকে।
‘হজযাত্রা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে… এটা আমাকে শক্তিশালী করেছে’- বলেছেন মিশরের তিন সন্তানের মা সুহেল মোহাম্মদ। তিনি অন্য মহিলাদেরও পরামর্শ দেন, ‘আসুন, ভয় পাবেন না।,
মিশরের ফাতেন আবদেল মোনেইম বলেছেন: ‘যারা সক্ষম তারা সুযোগটি হারাবেন না। এটি একটি আধ্যাত্মিক আনন্দ যা বর্ণনা করা যায় না। তুমি প্রভুর ঘরে, আর কী চাও?’