খবর৭১ঃ কক্সবাজারের টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে এবার মামা-ভাগ্নেসহ তিনজনকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দীনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফের রঙ্গিখালীর বাসিন্দা সুলতানা রাবিয়া মুন্নী। সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে করা মামলায় অভিযুক্ত ৪১ জনের মধ্যে ৩৫ জন পুলিশ সদস্য।
মামলায় বাদীপক্ষে আইনজীবী কাশেম আলী জানিয়েছেন, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এ ঘটনায় অন্য কোন মামলা হয়েছে কিনা, তদন্ত রিপোর্ট হয়েছে কিনা তা জানাতে টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, গত ৬ মে রাত ২ টার দিকে তার স্বামী সৈয়দ আলম, ভাই নুরুল আলম ও নিকটাত্মীয় (ভাগ্নে) সৈয়দ হোছন প্রকাশ আব্দুল মোনাফকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওসি প্রদীপ ও এসআই মশিউর তাদের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। ওই টাকা না পেয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। তারা সকলে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএন সদস্যদের পর রবিবার ও সোমবার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকত ও তৃতীয় অভিযুক্ত এসআই নন্দ দুলাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রথমে ৭ দিনের রিমান্ড আদেশ এবং পরে আরও ৪ দিন এবং পরে আরও তিনদিন রিমান্ড শেষে সোমবার আরও একদিনের রিমান্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে। এক সময়ের প্রতাপশালী ওসি প্রদীপ কারাগারে থাকার পর বিভিন্ন থানায় পুলিশ কর্তৃক নানাভাবে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে উদ্যোগী হচ্ছে। ইতোপূর্বে আরও চারটি হত্যার অভিযোগ ইতিমধ্যে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।