শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোল সীমান্তের ধান্যখোলা গ্রামে বিজিবি কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষক ইমরান হোসেনকে ষঢ়যন্ত্রমূলক আটকের পর ফেন্সিডিল দিয়ে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে গ্রামবাসী। ইমরান বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ও ধান্যখোলা ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক(লাইব্রেরিয়ান)।
শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ধান্যখোলা গ্রামের মাঝের পাড়ায় এ মানব বন্ধন করেন অত্র গ্রামের কয়েক’শ নারী-পুরুষ।
গ্রামবাসীরা জানায়, বুধবার রাত্রে ধান্যখোলা মাদ্রাসার শিক্ষক (লাইব্রেরিয়ান) ইমরান হোসেনকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ক্যাম্পে যায় বিজিবি সদস্যরা। ভোরবেলা ধান্যখোলা গ্রামের মাঝেরপাড়া রাস্তার পাশর্^ থেকে একটি বস্তা উদ্ধার দেখায় বিজিবি। পরে এলাকার মেম্বার হাসান আলীসহ গ্রামবাসীকে ডেকে নিয়ে বলে ইমরানের শিকারোক্তি মোতাবেক ২’শ পিছ ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। তার নামে আগে পরে কোথাও কোন অভিযোগ নেই। বেনাপোলে এমপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য ঐ রাত্রে ইমরান জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলছিল। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে ক্যাম্পে যায়। গ্রামবাসী এই মানব বন্ধনের মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসাথে নিশর্তে ইমরানের মুক্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপি ক্যাম্পের সুবেদার সফি উদ্দিন বলেন, আমরা গভীর রাত্রে (১.০০ ঘটিকা) রাস্তায় লোকজন দেখে লাইট মারলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন ইমরানকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে আসি। পরে তার শিকারোক্তি অনুযায়ী ধান্যখোলা মাঝেরপাড়া রাস্তার পাশর্^ থেকে একটি বস্তা ভর্তি ২’শ পিছ ফেন্সিডিল উদ্ধার করি।
খবর ৭১/ইঃ