হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে জনবল সংকটে সদর হাসপাতাল; করোনার নমুনা জমা দিতে না পেরে বিপাকে জেলাবাসী

0
346
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে জনবল সংকটে সদর হাসপাতাল; করোনার নমুনা জমা দিতে না পেরে বিপাকে জেলাবাসী
ছবিঃ মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীদের তালিকা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে করে একদিকে আতংকিত হয়ে পড়েছেন জেলাবাসী। অন্যদিকে দু:চিন্তা প্রস্থ সন্দেহভাজন লোকজন বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে তাদের নমুনা জমা দিতে জেলা সদর হাসপাতালে ভীড় জমাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। করোনা পরিস্থিতিতে নমুনা পরীক্ষার উপর বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা জোর দিলেও তা মোটেই কার্যকর হচ্চেনা।

জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটির দায়িত্বে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্টেও সংকট থাকায় ভুক্তভোগী হচ্ছেন সন্দেহের তালিকায় থাকা অনেক সাধারণ রোগীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও জেলাবাসীর একমাত্র আশা আর ভরসার স্থল হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে থাকা ৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করলেও ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহ খানেক আগে চলে গেছেন হোমকোয়ারেন্টাইনে। এরপর থেকে একাই নমুনা সংগ্রহের কাজটি করে আসছিলেন হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ইমতিয়াজ তুহিন। শনিবার পর্যন্ত তিনি একাই ৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করেন। গতকাল রবিবার তিনি নিজেও সদর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চলে যান হোম কোয়ারেন্টাইনে। ফলে হাসপাতালে বন্ধ হয়ে যায় নমুনা সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি।

নমুনা সংগ্রহের একমাত্র ভরসা ইমতিয়াজ তুহিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় জনবল সংকটে পড়ে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল। এদিকে, গতকাল রবিবার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেও নমুনা জমা দিতে পারেননি অনেকেই। নমুনা জমা না দিয়েই তাদেরকে ফিরে যেতে দেখা যায়। হাসপাতালে জনবল সংকট থাকার কারণে চরম বিপাকে পড়েন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা করোনার সন্দেহে থাকা এ লোকজন। আজ সোমবার থেকে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ হবে কি-না এমন প্রশ্ন এখন জন সাধারণের মুখে-মুখে। কোন কারনে যদি হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যায় জেলাবাসীকে চরম বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে সদর হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে দাবী করছেন জেলাবাসী।ইমতিয়াজ তুহিন জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন অনেক নমুনা সংগ্রহ করতে হয়।

রোগীর নাম-ঠিকানা লিখে দেওয়া থেকে প্রাথমিক এসব কাজ করে দেয়ার মতো কোন লোক না থাকায় তাকে একাই সব সামলাতে হয়। দীর্ঘদিন কাজ করার পর তিনি ক্লান্ত হয়েছেন পড়েছেন। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গতকাল থেকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আশরাফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করবেন বলে তাকে জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here