সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর নাম জাহেদা (৪৫)। গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার কামারপুকুর বাজারের সন্নিকটে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকার মৃত. নবী হোসেনের মেয়ে জাহেদা। বেশ কয়েক বয়স আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সে থেকে কামারপুকুরবাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত বাকডোকরা নালার ওপর সরকারি জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল। তাঁর বড় ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৯) এবং দ্বিতীয় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (১৫) পৃথক পৃথক জায়গায় থাকেন। স্বামী পরিত্যক্তা জাহেদা পেশায় ছিল হিমাগারের নারী শ্রমিক। ঘটনার দিন গত বুধবার ছোট মেয়ে বর্ষাকে নিয়ে জাহেদা বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাঁর বাড়ির পাশের একটি আকাশমনি গাছের সঙ্গে গলায় প্লাষ্টিকের রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম । তিনি জানান, লাশের শরীরে আঘাতে কোন চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে গলায় রশির লাগানোর দাগ রয়েছে।
এলাকার একটি সূত্রে জানা গেছে, আতিয়ার রহমান নামের জনৈক ব্যক্তিকে বিয়ে করে জাহেদা। জাহেদা’র তৃতীয় স্বামী আতিয়ার মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতে আসতো। আতিয়ার কামারপুকুর সাজেদা কোল্ড স্টোরেজের লেবার সুপারভাইজার বলেও জানা যায়।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই গৃহবধূ জাহেদার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ