রাজিব আহমেদ, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের করোনার বিশেষ বরাদ্দের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ এনে গ্রামবাসির মিছিল ও এই নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জামাতের কিছু লোকের সাথে আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হারুনর রশিদ যুক্ত হয়ে আমাকে হেয়পতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছে।
আমার ইউনিয়নে এযাবৎ তিন ধাপে ১১ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পেয়েছি, যা ১৫ হাজার পরিবারের জন্য খুবই সামান্য। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন টন চাল ঐ আন্দোলন কারী গ্রামে দিয়েছি। সরকারি ভাবে ১১ শো পরিবার ও আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ২ হাজার পরিবারকে সহযোগিতা করেছি। তারপরেও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে গ্রামবাসির ত্রাণের দাবি করা মিছিলটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে ।
তিনি আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার একজন সৈনিক হিসেবে রাজনীতি করি। র্যাবের প্রতিনিধি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে সুশৃঙ্খল ভাবে ত্রাণ বিতরণ করেছি। কাজেই আমার বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রশাসন যে শাস্তি দেবে আমি মাথা পেতে নেব।
তিনি বলেন আমার ইউনিয়নে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক এসেছে। তারা সহ প্রায় প্রত্যেকটি কর্মজীবী মানুষ আজ বেকার অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সরকারের বরাদ্দকৃত এই অপ্রতুল চাউলে মানুষের প্রয়োজন মেটানো অসম্ভব। এছাড়াও আমি নিজস্ব ব্যক্তিগত অর্থায়নেও মানুষকে ত্রাণ ও নগদ সহায়তা করেছি।
লক ডাউন উপেক্ষা করে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য হলো করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটানো ও সরকারের করোনা প্রতিরোধের প্রচেষ্টাকে বাধাপ্রদান করা। এই হীন আপচেষ্টা আইনগতভাবে মোকাবেলা করার জন্য আমি শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এই বিষয়ে শাহাদজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা জানান, এ পর্যন্ত আমরা শাহজাদপুর উপজেলার জন্য ১২৮ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ পেয়েছি যা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট না। কৈজুরী ইউনিয়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।