বিপদ বুঝতে পেরে কাদেরের দৌড়াদৌড়ি শুরু: মোশাররফ

0
411

খবর ৭১ঃবিপদে আছেন বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বুঝতে পেরেছেন বিপদে আছেন তারা। কিভাবে দৌড়াদৌড়ি করতেছেন ,অনেকের বাড়ি পর্যন্ত যাচ্ছেন।বাড়িতেও যদি আসেন আমাদের মহাসচিবের এর বাহিরে বলার কিছু নেই।’

রবিবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদী নাগরিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদী নাগরিক সভাটির আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক বলেন, ‘ তিনি (কাদের) যদি টেলিফোন করেন আমাদের মহাসচিবকে, তাহলে আমাদের মহাসচিব বলবেন- আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে, সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সামরিক বাহিনীকে নির্বাচনের সময় আনতে হবে। এটা তিনি টেলিফোনেও বলবেন আবার যদি মহাসচিবের সাথে দেখা করেন সেখানেও তিনি একই কথা বলবেন।’

আগামী নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সূত্রে গাঁথা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে তারপরও জামিন দেয়া হচ্ছে না। উদ্দেশ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে (খালেদা) ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন কোনো নির্বাচন হয়নি।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা নেই তাদের। প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। এক লক্ষ ৪৪ হাজার টন কয়লা চুরি হয়ে গেছে। কেন হচ্ছে- যেহেতু স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। জনগণও বিশ্বাস করে না এদেরকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের সকল মানুষ অংশগ্রহণমূলক ভোট চায়। ৫ জানুয়ারিসহ এই সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের প্রত্যাশা পূরন হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনকে সরকার ভয় পায় বলেই বেগম জিয়া এখনও বন্দি।’

তিন সিটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনার মতো তিন সিটিতে একই মডেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে এমনভাবে গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ ভোটাররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে ভোট দিতে হবে না, তথাকথিত শেখ হাসিনা মডেলের নির্বাচন করতে চায় তারা।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ মো. ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, মশিউর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, জিনাফ সভাপতি লায় মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here