দুটি নতুন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান দিলেন নোবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞানী ড. বেলাল

0
381

খবর৭১:দুইটি নতুন প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান দিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. বেলাল হোসেন। এর আগে ২০১৬ সালেও তিনি নতুন দুইটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে ছিলেন। এবারের আবিষ্কৃত প্রাণী দুইটি হলো Neumania nobiprobia এবং Arrenurus smiti. এদের মধ্যে Neumania nobiprobia প্রাণীটি নামকরণ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের (নোবিপ্রবি) সাথে মিল রেখে।
এতে তার সহগবেষক হিসেবে ছিলেন মন্টেনিগ্রোর বিখ্যাত একারলগিস্ট ড. ভ্লাদিমির পেসিস, ভারতের তাপস চ্যাটার্জী, পোল্যান্ডের আড্রেজেল জোয়েল ও তারই ছাত্র সাইফুল ইসলাম। চার দেশের পাঁচজন গবেষকের সমন্বিত প্রচেষ্টায় নতুন এই প্রজাতি দুইটি আবিষ্কৃত হয়।

ড. বেলাল বলেন, তিনি ও তার ছাত্র সাইফুল গতবছর এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত নোয়াখালীর বিভিন্ন পুকুর, খাল ও নদী থেকে মাইটসের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নোবিপ্রবির মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে প্রথমিক শনাক্তকরণের কাজ করেন। তবে পরবর্তী সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অপ্রতুল হওয়ায় এবং চূড়ান্তভাবে নতুন প্রজাতি হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনাগুলো ভারতে পাঠানো হয়। ভারতের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মাইটসের অন্য কোনো প্রজাতির সঙ্গে এর মিল নেই। তাই এগুলো নতুন প্রজাতি হিসেবে গণ্য হয়।

প্রজাতি দুটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োটাক্সায় (biotaxa.org) পাঠানো হয়। গত ১৪ মে গবেষণাটি ওই জার্নালে প্রকাশিতও হয়। একই দিনে বিশ্ব স্বীকৃত ডাটাবেজ Zoobank (জোব্যাংক)-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।

ড. বেলাল বলেন, স্থলজ মাইটস যেমন- ছারপোকা, মাকড়শা ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা হলেও জলজ মাইটস নিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশে গবেষণা হয়েছে। আমাদের উপকূলীয় বা সামুদ্রিক অঞ্চল অত্যন্ত জীববৈচিত্র্যপূর্ণ। গবেষণার অপ্রতুলতার কারণে এ দেশের জীববৈচিত্র্যের সম্পূর্ণ তালিকা এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত আমি যতটুকু গবেষণা করেছি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে। তবে খুশির ব্যাপার হচ্ছে দুটি প্রজাতির মধ্যে Neumania nobiprobia (নিউমেনিয়া নোবিপ্রবিয়া)-এর নামকরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ নোবিপ্রবির সঙ্গে মিল রেখে করতে পেরেছি।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য নিয়ে আরও ব্যাপক আকারে গবেষণা সম্ভব বলে মনে করেন এ সমুদ্রবিজ্ঞানী।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here