খবর৭১: এম এম আতাউর রহমান (জীবন)।
বগুড়া-জয়পুরহাট মহা সড়কে হেলপারের ধাক্কায় চলন্ত যাত্রীবাহী বাস থেকে ছিটকে পড়ে হুজুর আলী (৩৫) নামে এক হলুদ ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত হুজুর আলী কিচক ইউনিয়নের চকগুপিন(ডাবইর) গ্রামের জয়লালের ছেলে। এই ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত জনতার ধাওয়ায় কিচকবন্দরে বগুড়া গামী সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাটি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক বাজারের অদুরে বলরামপুর বাজারে ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে জয়পুরহাট গামী একটি যাত্রীবাহী বাসে হুজুর আলী পুনুট হাটে যাচ্ছেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বলরামপুর বাজারের অদুরে হেলপার স্বজড়ে ধাক্কা দিলে চলন্ত বাস থেকে পাকার উপড়ে সে পড়ে গিয়ে মাথা-মুখ থেতলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক বাসটিকে আটকানোর চেষ্ঠা করলে তাতে ব্যর্থহন।
পরে তাকে মুর্মর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভ্যানে করে কিচক বাজার সিএনজি ষ্টেশনে আনা হয়। রক্তাক্ত আহত হুজুর আলীকে স্বজনরা সিএনজি করে হাতপাতালে নেওয়ার চেষ্ঠা করলে কোন সিএনজি নিতে রাজি হয়নি। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আহত হুজুর আলীর এক স্বজনের সাথে সিএনজি চালকের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। প্রায় আধাঘন্টা ধাক্কা ধাক্কির পর অবশেষে সিএনজি যোগেই প্রথমে শিবগঞ্জ হাসপাতাল ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেলে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষনে হুজুর আলীর মৃত হয়।
এদিকে হুজুর আলীর মৃত্যুর খবর শোনে উত্তেজিত জনতা কিচক বাজারে অপেক্ষ মান প্রায় ৩০-৩৫টি সিএনজি ও চালককে ধাওয়া দিলে মর্হতের মধ্যে কিচক বাজার সিএনজি শুণ্য হয়ে পড়ে এবং সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টার দিকে নিহত হুজুর আলীর লাশ কিচক বাজারে নিয়ে আসা হলে এক নজর লাশ দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কিচক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী। তিনি পরিস্থিতি শান্তু করে হুজুর আলীর লাশ গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এদিকে হুজুর আলীর লাশ চকগুপিন(ডাবইর) গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার স্ত্রী, ২ ছেলে-মেয়েসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং শোকের মাতম পড়ে যায়, এসময় স্বজনদের কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠে। এই ঘটনায় সচেতন মহল হটকারি ঐ সিএনজি চালকদের দায়ী করেছেন। এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত এই ঘটনায় কিচক বাজারে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খবর৭১/জি: