খবর৭১: রপ্তানিতে বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত বাইসাইকেল। এক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ। ২০১৬ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে বাইসাইকেল রপ্তানি কমে গেলেও ২০১৭ সাল থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে সাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশ তৃতীয়। এর আগে আছে তাইওয়ান ও কম্বোডিয়া। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইউরোপে বাইসাইকেল রপ্তানি বেড়েছে নয় শতাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশে সাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ। জিএসপির কারণে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বিনাশুল্কে রপ্তানি সুবিধা পায় তারা।
২০১৬ সালে ইউরোপে বাংলাদেশ সাত লাখ ৩১ হাজার সাইকেল রপ্তানি করেছে। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যমতে, এটা ২০১৫ সালের চেয়ে এক শতাংশ কম। ওই বছর এই সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৩৮ হাজার।
মেঘনা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মিজানুর রহমান জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ১১ শতাংশ সাইকেল রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বর্তমানে এই রপ্তানিমূল্য ৫৭ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই মূল্য ছিল ৫২.৫৪ মিলিয়ন ডলার।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার ব্রিটেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে ব্রেক্সিটের কারণে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮.৮৮ মিলিয়ন ডলারের বাইসাইকেল কিনেছে যুক্তরাজ্য। অর্থাৎ ৫৭ মিলিয়ন ডলারের ৫১ শতাংশই এসেছে ব্রিটেন থেকে।
বাংলাদেশী সাইকেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার জার্মানি। এরপর আছে ডেনমার্ক, ভারত ও বেলজিয়াম।
খবর৭১/জি: