যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড 

0
50

বার্বাডোসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জয়লাভ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড । ক্রিস জর্ডানের হ্যাটট্রিক সহ অসাধারণ পারফরম্যান্স যেখানে ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিক—এবং পাঁচ বলের মধ্যে মোট চারটি উইকেট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করেন সেটিই মূলত ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে দেয় । যুক্তরাষ্ট্র ১৮.৫ ওভারে মাত্র ১১৫ রানে অলআউট হয় যেখানে জর্ডান ১০ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন এবং আদিল রশিদ ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট দেন।

ছোট টার্গেটে ইংল্যান্ডের জবাব ছিল দ্রুত এবং নির্দয়। অধিনায়ক জস বাটলার ৩৮ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে হারমিত সিংয়ের এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা মারেন। বাটলারের ইনিংস ইংল্যান্ডকে মাত্র ৯.৪ ওভারে লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে। যার ফলে অসাধারণ নেট রান রেটে সেমিফাইনাল স্থানও নিশ্চিত করেছে ।

বাটলারের ইনিংস, যা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দ্রুততম অর্ধশতক, তাকে ক্যারিবিয়ানে আসার পর প্রথম অর্ধশতক করতে সাহায্য করে। ফিল সল্ট নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে সহায়তা করেন।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এখন তাদের সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছে, যা সুপার এইটের গ্রুপ ‘১’ এর বাকি ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, অথবা বাংলাদেশ যে কোনো দলের মুখোমুখি হতে পারে তাদের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপার সন্ধানে।

তবে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পথ সহজ ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কষ্টদায়ক পরাজয়ের পর, তাদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান বিপদে পড়েছিল। তবে, ওমান, নামিবিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নির্ধারক জয়ের মাধ্যমে তারা পুনরায় উদ্দীপ্ত হয়, যদিও শীর্ষস্থানীয় দলগুলির বিপক্ষে তাদের রেকর্ড ঠিক স্বস্তিদায়ক নয়। অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হেরেছিল তারা ।

যুক্তরাষ্ট্রের এই টুর্নামেন্টের যাত্রা, যদিও একটি ভারী পরাজয়ের মধ্যে শেষ হলো। তবে সুপার ৮ এ পৌঁছানোর মাধ্যমে তারা তাদের অগ্রগতি প্রদর্শন করেছে এবং এই টুর্নামেন্টের অন্যতম প্রধান গল্প হয়ে উঠেছে।

ইংল্যান্ডের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ বুধবার ত্রিনিদাদে অথবা বৃহস্পতিবার গায়ানায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে তা আসন্ন ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।

এই বিজয় শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের সেমি-ফাইনালের স্থান নিশ্চিত করেনি বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে কারণ তারা ক্যারিবিয়ানে তাদের শিরোপা প্রতিরক্ষা অব্যাহত রাখছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here