সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে অধিকাংশ সবজির দাম

0
118

খবর ৭১: ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম। বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও। কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচ, আদা, আলু ও চিনির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

শুক্রবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। গত কয়েক সপ্তাহের ধরেই এসব নিত্যপণ্যের দাম চড়া।

টমেটো এবং কাঁচা মরিচের দাম কোরবানির ঈদের পর থেকে থেমে থেমে বাড়ছে। এ দুই সবজি কিনতে ক্রেতাকে বাজারভেদে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার কিছু কমবেশি। বাজারে আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭৫ টাকায়।

প্রতি কেজি করলা এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চিচিঙ্গা কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কচুমুখি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত দুই মাস ধরে ৩০০ টাকার উপরে আদার কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ২৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়।

দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা। শিং মাছ, বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৫০ টাকা। আকারভেদে ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, বড় হলে কেজিপ্রতি ১২০০ টাকারও বেশি।

বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। শুধু মাত্র গরুর ফেফসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। খাসির মাংস স্থানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে, এক বছর আগেও যা বিক্রি হতো ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়।

সপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা কাউছার আলী বলেন, বেশিরভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম শুনে হতাশ হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাচ্ছেন না তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here