রুশ-মার্কিন সংঘর্ষের শঙ্কা

0
214
ROVANIEMI, FINLAND - MAY 23: An M270 MLRS heavy rocket launcher of the Finnish military participates in the LIST 22 live-fire Lightning Strike military exercises at the Rovajärvi training grounds on May 23, 2022 near Rovaniemi, Finland. Finland, after decades of neutrality, is applying along with Sweden for membership in the NATO military alliance as a consequence of Russia's military invasion and ongoing war in Ukraine. Russia, which shares a 1,340km long border with Finland, has reacted angrily to the move and has shut down all natural gas exports to Finland in response. (Photo by Sean Gallup/Getty Images)

খবর৭১ঃ ইউক্রেনকে দূরপাল্লার যুদ্ধাস্ত্র পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার জো বাইডেনের দেওয়া এমন বক্তব্য বদলে গেল বুধবারই। রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে উন্নত রকেট সিস্টেম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনারা যেন নির্ভুলভাবে রুশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতেই এই অস্ত্র পাঠাবেন তিনি। আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসাবে বুধবার মস্কো হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, বাইডেনের এ সিদ্ধান্তে রুশ-মার্কিন সংঘর্ষের শঙ্কা তৈরি হলো। আলজাজিরা, এএফপি, রয়টার্স।

বুধবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেনের সম্মতিতে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসাবে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে দূরপাল্লার অস্ত্র পাঠাবে ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্টের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে উচ্চ গতিশীল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম সরবরাহ করছে, যা ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে। মূলত রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে কিয়েভ ‘আশ্বাস’ দেওয়ার পর সেগুলো পাঠানো হচ্ছে।

এরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় মস্কো। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে বলেন, ‘যে কোনো অস্ত্র সরবরাহ যদি অব্যাহত বা বাড়তে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়াকে সংঘাতের দিকে টেনে নেওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। শুধু তাই নয়, এটা হবে নজিরবিহীন এবং বিপজ্জনক।’

ইইউর তেল-নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে কাজ করছে ক্রেমলিন : বুধবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আরোপিত আংশিক তেল-নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমরা শিগরিই তার ফল পাব।’

রুশ পারমাণবিক বাহিনীর ‘মহড়া চলছে’ : মস্কোর উত্তরপূর্বে ইভানভো প্রদেশে রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনী মহড়া চালাচ্ছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স। ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তুলে দিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানকার শহরগুলোতে রুশ হামলার গতি বেড়েছে। তার মধ্যেই এবার তাদের পারমাণবিক বাহিনীর মহড়ার খবর এলো। বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে ইন্টারফ্যাক্স এ মহড়ার খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ মহড়ায় হাজারখানেক সৈন্য এবং যার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের লঞ্চারসহ শতাধিক যান ব্যাপক কৌশলগত প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

‘দিন বা সপ্তাহের মধ্যে’ দনবাস হারাবে ইউক্রেন : জার্মানির অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল রোল্যান্ড ক্যাটার বিশ্বাস করেন যে, ইউক্রেন দিন বা সপ্তাহের মধ্যে পুরো দনবাসের নিয়ন্ত্রণ হারাবে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, রাশিয়া গত কয়েকদিন এবং সপ্তাহে তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা দনবাসে একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্দিষ্ট করেছে এবং সেখানে তার বাহিনীকে নিয়োগ করেছে।’ তিনি জোর দিয়েছিলেন যে, রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে রয়েছে, যারা কার্যত ইচ্ছা করেই কিয়েভকে ছেড়ে দিয়েছে। কারণ, সেখানে তাদের কোনো স্বার্থ নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here