মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর :
সারাদেশে অবৈধ এবং অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক,ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার নির্দেশ বাস্তবায়নে গতকাল সোমবার সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ওই আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহমুদুল হাসান।
অভিযানে ৫ টি প্রতিষ্ঠানের
সুত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেয়। এরই অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১২টি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই অভিযানে ৫ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ অপর ৭ টি প্রতিষ্ঠানকে কাগজপত্র ঠিক করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
এতে ২ প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বেশকিছু মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ওষুধ ল্যাবটেস্ট পরীক্ষার কিছু কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।
আদালত কর্তৃক বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ নিউ প্রিন্স ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও কুন্দলস্থ মেডিকেয়ার ডায়াগনোসিস সেন্টার। এছাড়া কাগজপত্র না থাকাসহ অন্যান্য অভিযোগে শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ গ্রূন লাইফ হাসপাতালের ১০ হাজার, নতুন বাবুপাড়াস্থ শহীদ জহিরুল হক মোড়স্থ জনতা ডায়াগনোসিস সেন্টারের ৫ হাজার ও সবজিবাজার গোয়ালপাড়া রোডস্থ এ্যাপোলো ডায়াগনোসিস সেন্টারের ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। আদালতের এসব রায় প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
মো.মাহমুদুল হাসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.চন্দন রায় ও ডা. সাবাব আশফাক, পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলতাফ হোসেন সরকারসহ থানা পুলিশের সদস্যরা।সুত্র জানায়,
সৈয়দপুর উপজেলায় ৩০ টির ওপরে ডায়াগনোসিস সেন্টার ও হাসপাতাল ক্লিনিক রয়েছে। এরমধ্যে ১২ টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে। আগামিতে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।