১৯২ রানে থেমে গেলো বাংলাদেশের ইনিংস

0
307

খবর৭১ঃ  আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের মিশনে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও আফগানদের পাল্টা আক্রমণে খুব বেশি রান করতে পারেনি টাইগাররা।
পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৬.৫ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৯২ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশেই নামে টাইগাররা।

তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে আফগানিস্তানের একাদশে এসেছে একটি পরিবর্তন। সুযোগ পেয়েছেন গুলবাদিন নাইব, বাদ পড়েছেন ফরিদ আহমেদ মালিক।

বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। দুজনের ব্যাটে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লে থেকে তারা যোগ করেন ৪৩ রান।

তবে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লের একদম শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ফজল হক ফারুকির ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১১ রান করা তামিম। এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন লিটন।

দারুণ সব শট খেলে ৬৩ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন। তার সঙ্গে সাকিবের জুটিও ছাড়াও পঞ্চাশের মাইলফলক। দুজনের ব্যাটে যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় টাইগাররা, তখনই আউট হন সাকিব।

ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৩০ রান করেন সাকিব। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। এই দুজন করেন যথাক্রমে ৭ ও ১ রানে।

অন্যরা আসা যাওয়ার মাঝে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সুবাসও পাচ্ছিলেন তিনি। তবে মোহাম্মদ নবীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গুলবাদিন নাইবের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন এ ওপেনার। এর আগে করেন ৮৬ রান।

আফিফ হোসেনকে ৫ রানের বেশি করতে দেননি নবী। মেহেদি হাসান মিরাজ ৬ রানে রান আউট রানের খাতা খুলতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। শরিফুল ইসলাম খেলেন ৭ রানের ইনিংস।

শেষ উইকেট হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমান রান আউট হন। একপ্রান্ত আগলে রেখে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৫৩ বল খেললেও দলের বাজে অবস্থার পেছনে তার দোষই বেশি। কারণ তিনটি রান আউটেই ছিল তার অবদান।

এছাড়া ডট বল খেলে অন্যদের ওপর চাপও তৈরি করেছেন রিয়াদ। আফগানদের হয়ে রশিদ খান তিনটি, মোহাম্মদ নবী দুটি এবং ফজল হক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই একটি করে উইকেট শিকার করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here