স্টারশিপে চড়েই মানুষ যাবে মঙ্গলে

0
357

খবর৭১ঃ বর্তমানে বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যে, একেকটা দেশ যেন আজ প্রতিবেশী একেকটা গ্রাম হয়ে উঠেছে। আর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে। যদিও চাকা আবিষ্কারের পরেই মানব সভ্যতায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল। এরপর থেকে প্রযুক্তির হাত ধরে নতুন নতুন আবিষ্কার চলমান পৃথিবীর রুপ পাল্টাতে সাহায্য করছে সবসময়।

আধুনিক প্রযুক্তি শুধু পৃথিবীর মধ্যেকার যোগাযোগ ব্যবস্থার দূরত্বই কমায়নি, যেভাবে চাকার আবিষ্কার যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দিয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে প্রযুক্তি মানুষের সামনে বিশাল মহাশূন্যের দুয়ার উন্মোচন করেছে। প্রযুক্তির এমন আবিষ্কারের জন্যে শত শতকোটি মাইল দূরের চাঁদ-তারা, গ্রহ-নক্ষত্র গুলোকে মানুষ তার হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে।

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রযুক্তির সাহায্যে রকেটের আবিষ্কার হয়েছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রের অস্ত্র হিসেবে। দূরের ঘাঁটিগুলোতে আক্রমনের অস্ত্র হিসেবে রকেট যুদ্ধক্ষেএে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে। বিশ্বযুদ্ধ দুইটি পৃথিবীর সবকয়টি দেশকে আধুনিক যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে মানুষের মনে যুদ্ধের প্রতি অনীহা তৈরি করে, এতে প্রত্যেকটি দেশই নিজের দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে অধিক মনোযোগী হয়ে ওঠে। অন্যদিকে বিশ্ব পরাশক্তি গুলো সামরিক ও প্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করলে রকেট প্রযুক্তির মাঝেও পরিবর্তন শুরু হয়।

রকেট প্রযুক্তিকে সফল ভাবে সর্বপ্রথম রাশিয়া মহাকাশ গবেষণার কাজে ব্যবহার করে। দেশটি ১৯৫৭ সালে কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। পিছিয়ে না থেকে পরের বছর আমেরিকাও তাদের প্রথম স্যাটেলাইট প্রেরণ করে। এই প্রযুক্তি এক ধাপ এগিয়ে যায় ১৯৬১ সালে, যখন রাশিয়া সফলভাবে একজন নভোচারীকে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রেরণ করেন। পরের বছরে আমেরিকাও পৃথিবীর কক্ষপথে নভোচারী প্রেরণ করে। রকেট প্রযুক্তির ওপর আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা অনেকগুণ বেড়ে যায় আমেরিকার অ্যাপোলো মিশনের পর। এই মিশনটির মাধ্যমেই মহাকাশে প্রথম বারের মতো চাঁদের পৃষ্ঠে কোনো মানুষের পদচিহ্ন পড়ে।

চন্দ্রাভিযান পৃথিবীর সামনে মহাকাশ বিজ্ঞানের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত করে ফলে পৃথিবীর অনেক দেশই আগ্রহী হয়ে ওঠে। নতুন রুপে রকেট বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। কেননা অভিকর্ষ বলকে টেক্কা দিয়ে মহাশূন্যে পৌঁছানো রকেট ছাড়া সম্ভব নয়।

মহাকাশ গবেষণায় একের পর এক সফলতা অর্জন করেছে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত দেশগুলো সেখানে মধ্যম বা নিম্ন আয়ের দেশের কাছে এটা চিন্তা করা এক কথায় বিলাসিতা। কেননা, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে স্পেসএক্স কোম্পানির পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট উদ্ভাবনের পর থেকে খরচ অনেকটা কমে আসে। স্পেসএক্স-এর রকেটগুলো একাধিক মিশনেও ব্যবহার করা যায় যে জায়গায় পূর্বে একটি রকেট শুধু একবারই ব্যবহার করা যেত।

আজ জানবো, স্পেসএক্স কোম্পানির একটি বিশেষ রকেট ‘স্টারশিপ’-এর ব্যাপারে। স্টারশিপ-কে বলা হয়ে থাকে এখন অবদি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহদাকৃতির রকেট, যেটির দ্বারা স্পেসএক্স মঙ্গল গ্রহে মানববসতি গড়ে তুলতে আগ্রহী।

স্পেসএক্স ও স্টারশিপ

বর্তমান বিশ্বে ‘এলন মাস্ক’-কে চেনেন অনেকেই এমন কে, বিশেষ করে আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করবো বা আমাদের সামান্য আইডিয়া আছে আশা করছি তারা সকলেই ‘এলন মাস্ককে চিনেন। এলন মাস্ক একজন সফল উদ্যোক্তা, তার এমন খেতাবের পেছনে রয়েছে নতুন ধরনের সব উদ্ভাবনী আইডিয়া।

‘স্পেসএক্স’ ২০০২ সালে আমেরিকায় যাত্রা শুরু করে। টানা কয়েক বছর অসফল থাকার পরেও হাল ছাড়েননি আর বর্তমানে মহাকাশ গবেষণায় এই ‘স্পেসএক্স’ সবচেয়ে সফল প্রাইভেট কোম্পানি। সাল ২০০৮ ‘স্পেসএক্স’ প্রথম পৃথিবীর অরবিটে লিকুইড ফুয়েল রকেট পাঠায়। এর পরেই নাসার সঙ্গে চুক্তি হয় এবং ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন হয়ে কাজ করার সুযোগটা এসে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here