অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো না.গঞ্জ সিটির ভোট

0
136

খবর৭১ঃ অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা।

রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়েছে। এ নির্বাচনে কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা।

তবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও ভোটগ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এর জন্য ইভিএমকে দায়ী করছেন ভোটাররা। ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। তবে নতুন ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্ট ছিল। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। ভোটগ্রহণ নিয়ে কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থী লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি।

শেষ বেলায় ভোট বিকাল পৌনে চারটার দিকে ভোট দিতে এসে একই কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এক এম শামীম ওসমান। আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।

এবার সিটি নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র ১৮৭টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০১টি। এর মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র ছিল ২৫টি।

এবার নির্বাচনে মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করেছে। মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন ৭ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি টিম ছিল; যার প্রতিটি টিমে ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ২০ থেকে ২২ জন আনসার সদস্য।

নির্বাচনে মেয়রপদে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা ছিল। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই প্রার্থীই।

এ নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে প্রার্থীরা প্রচারণা শেষ করেছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড মিলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করলেও ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ এবং পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here